বাংলাহান্ট ডেস্ক : পরপর তিন বছর বিশ্বের শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানীদের তালিকায় জায়গা দখল করে রাখলেন বাংলার বিজ্ঞানী চিন্ময় চক্রবর্তী। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সবং-এর ভূমিপুত্র চিন্ময় ২০২১-২২ সালের পর এই বছরেও স্টান্ডফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকাশিত সেরা বিজ্ঞানীদের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন।
স্টান্ডফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়ে উদ্ধৃতি, এইচ- ইনডেক্স, এইচএম-ইনডেক্স সহ লেখকত্ব ইত্যাদি বিষয়ের উপর ভিক্তি করে বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ ২% বিজ্ঞানীদের তালিকা প্রকাশ করেছে। এই তালিকায় জ্বলজ্বল করছে বাংলার ছেলে খড়গপুর আইআইটির প্রাক্তনী চিন্ময়ের নাম। চিন্ময় বর্তমানে অধ্যাপনার কাজ করেন ঝাড়খণ্ডের বিড়লা ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজিতে।
আরোও পড়ুন : মাথায় রাখুন এই তিনটি কথা! কষ্টের দিনগুলো কেটে যাবে চোখের নিমেষেই, বলছেন স্বয়ং চাণক্য
চিন্ময় চক্রবর্তী পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সবং থানার পানিথর গ্রামের বাসিন্দা। ১৯৯৯ সালে পিংলার কড়কাই বিবেকানন্দ বিদ্যাপীঠ থেকে মাধ্যমিক (Madhyamik) ও ২০০১ সালে উচ্চ মাধ্যমিক (Higher Secondary ) পাস করেন চিন্ময়। এরপর চিন্ময় বিটেক করেন ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন নিয়ে।
আরোও পড়ুন : সময় ৫৩ সেকেন্ডে! ১৩৮৭ টাকার টিকিট কেটে সফর করুন বিশ্বের সবথেকে কম সময়ের বিমান যাত্রায়
তারপর টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের উপর রিসার্চ (M.S, Research) করেন খড়্গপুর আইআইটি থেকে এবং পোস্ট ডক্টরেট করেন বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের উপর ফেডারেল ইউনিভার্সিটি অফ পিয়াও,ব্রাজিল থেকে। ইউরোপিয়ান ফেলোশিপের মাধ্যমে চিন্ময় এই বছর যান ইউরোপে। সেখানে তিনি ইন্দো-ইউরোপিয়ান গবেষণার ওপর ইউনিভার্সিটি অফ মল্টা ও ইউনিভার্সিটি অফ বারিতে কাজ করেছেন।
গ্রামীণ স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর উন্নত প্রযুক্তির প্রয়োগের বিষয় গবেষণা করে চলেছেন বছর ৪০ এর চিন্ময় চক্রবর্তী। বর্তমানে বিজ্ঞানী চক্রবর্তী ব্যস্ত রয়েছেন জাতীয় শিক্ষানীতির প্রয়োগ সম্পর্কিত প্রকল্পে। টেলি মেডিসিনের মাধ্যমে কীভাবে বিখ্যাত হাসপাতালগুলি থেকে প্রত্যন্ত গ্রামে চিকিৎসা ব্যবস্থা পৌঁছে দেওয়া যায় সেই বিষয়ে ক্রমাগত গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন চিন্ময় চক্রবর্তী।