লুকিয়ে ছিল গভীর সমুদ্রে, খুঁজে বের করলেন বিজ্ঞানীরা! উদ্ধার ২৪০ মিলিয়ন বছরের পুরনো চাইনিজ ড্রাগন

বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার একটি অত্যন্ত চাঞ্চল্যকর বিষয় সামনে এসেছে। যেটি সম্পর্কে জানার পর অবাক হবেন প্রত্যেকেই। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, সম্প্রতি একদল বিজ্ঞানী ২৪০ মিলিয়ন বছরের পুরোনো একটি “চাইনিজ ড্রাগন” (Chinese Dragon)-এর জীবাশ্মের আবিষ্কার করেছেন। BBC অনুসারে, ১৬ ফুট লম্বা ওই বিশালাকার জীবাশ্মটি ট্রায়াসিক যুগের একটি দীর্ঘ জলজ সরীসৃপের।

ওই প্রজাতিটিকে ডাইনোসেফালোসরাস ওরিয়েন্টালিস (Dinocephalosaurus orientalis) বলা হচ্ছে এবং সেটির অত্যন্ত লম্বা ঘাড়ের কারণে ওই প্রাণীকে “ড্রাগন” হিসেবে অভিহিত করা হচ্ছে। এদিকে, এই আবিষ্কারটি একটি আন্তর্জাতিক দল দ্বারা করা হয়েছে এবং ওই জীবাশ্মটি বর্তমানে ন্যাশনাল মিউজিয়াম স্কটল্যান্ডে প্রদর্শন করা হয়েছে। পাশাপাশি, ABC নিউজের রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, দক্ষিণ চিনের গুইঝো প্রদেশে এই জীবাশ্মটি পাওয়া গেছে।

Scientists Discover 240-Million-Year-Old "Chinese Dragon"

উল্লেখ্য যে, ওই আন্তর্জাতিক দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ডক্টর নিক ফ্রেজার BBC-কে জানিয়েছেন যে, “ওই জীবাশ্মটি অদ্ভুত এক প্রাণীর।” তাঁর মতে, “প্রাণীটির ফ্লিপারের মতো অঙ্গ ছিল এবং সেটির ঘাড়টি তার দেহ এবং লেজের থেকেও বড়।” ওই লম্বা ঘাড়ের সাহায্যে ডাইনোসেফালোসরাস ওরিয়েন্টালিস জলের মধ্যে থাকা ফাটলগুলি থেকে খাবারের সন্ধান করত।

আরও পড়ুন: রজত পাতিদার নয়, বরং শেষ টেস্টে দল থেকে বাদ পড়বেন এই তারকা খেলোয়াড়! কি সিদ্ধান্ত BCCI-র?

পাশাপাশি, বিজ্ঞানীরা বলেছেন, এই প্রাণীটি ট্যানিস্ট্রোফিয়াস হাইড্রয়েডের (Tanystropheus hydroids) মতো, মধ্য ট্রায়াসিক যুগের একটি সামুদ্রিক সরীসৃপ। এই বিষয়ে ABC নিউজ জানিয়েছে যে, “উভয় সরীসৃপ আকারে একই রকম ছিল এবং সেগুলির মাথার খুলিরও একই বৈশিষ্ট্য ছিল। পাশাপাশি, সেগুলির দন্তসজ্জা ছিল ফিশ-ট্র্যাপ ধরণের। তবে, ডাইনোসেফালোসরাসের ঘাড় এবং ধড় উভয় ক্ষেত্রেই আরও অনেক কশেরুকা থাকার জন্য সেটিকে আলাদা করে তুলেছে। যেটি ওই প্রাণীটিকে অনেক বেশি সাপের মতো চেহারা দিয়েছে।

আরও পড়ুন: “প্রতিটি বিপদে ভারতের সাহায্য পেয়েছি”, মুইজ্জুর সমালোচনা করে বড় প্রতিক্রিয়া মলদ্বীপের প্রাক্তন মন্ত্রীর

আন্তর্জাতিক দলটি আরও বলেছে, ওই সরীসৃপটি “আপাতদৃষ্টিতে খুব ভালোভাবে একটি সামুদ্রিক জীবনযাত্রার সাথে খাপ খাইয়ে নিয়েছিল।” এদিকে, ওই আন্তর্জাতিক দলটিতে স্কটল্যান্ড, জার্মানি, আমেরিকা এবং চিনের বিজ্ঞানীরা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। তাঁরা বেজিংয়ের “Institute of Vertebrate Paleontology and Paleoanthropology”-তে ১০ বছর ধরে জীবাশ্মটির পরীক্ষা করেছিলেন। এমতাবস্থায়, গত শুক্রবার তাঁরা এই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানান। পাশাপাশি, এই গবেষণাটি “আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স: ট্রানজেকশনস অফ দ্য রয়্যাল সোসাইটি অফ এডিনবার্গ” জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।


Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর