বাংলাহান্ট ডেস্ক: জন্ম-মৃত্যু-বিয়ে তিন বিধাতা নিয়ে। একথা সকলের জানা। জন্ম এবং বিয়ে নিয়ে সকলের মনে যতটা কৌতুহল থাকে, তার চেয়ে বেশি কৌতুহল থাকে মৃত্যু নিয়ে। কারণ জন্মের পর বাবা মার কাছে থাকবে আর বিয়ের পর শশুর বাড়ি তা সকলের জানা। কিন্তু মৃত্যুর পর কোথায় ঠাঁই হয় এটাই প্রশ্ন?
অভিজ্ঞ ব্যক্তিরা বলেন মানুষ মৃত্যুর পর হয় স্বর্গে যায় নয়তো নরকে। স্বর্গ অর্থাৎ দেবতাদের স্থান। কথিত আছে পুণ্য করলেই ঠাঁই হয়, দেবতাদের ঘরে অর্থাৎ স্বর্গে। আর যদি কেউ পাপ করে তাহলে ঠাঁই হয় নরকে। মূলত নরকই হচ্ছে যমপুরী, যেখানে স্বয়ং যমরাজ বাস করেন। আর এবার নাকি বিজ্ঞানীরা (Scientists) এই যমপুরীর সন্ধান পেয়েছেন।
যমলোকের খোঁজে বিজ্ঞানীরা (Scientists):
বিষয়টি হয়তো শুনে অনেকেই অবিশ্বাস করবেন। যে যমলোক সত্যিই খুঁজে পাওয়া যায় কিনা। অবিশ্বাস্য হলেও বিজ্ঞানীরা (Scientists) এই অসাধ্য সাধন করেছেন। যদিও বিজ্ঞানীদের কাছে অসম্ভবকে সম্ভব করে তোলাই মূল কাজ। তবে বিজ্ঞানীরা শুধু যমলোকের ঠিকানাই পায়নি, একইসাথে পৃথিবী থেকে এর দূরত্ব কত এখানে কি কি হয়? সমস্ত খবর তুলে ধরেছেন।
কোথায় রয়েছে যমপুরী?
জানা যায়, ২০১২ সালে আমেরিকান বিজ্ঞানীরা প্রথম রিভার স্টাইক্স নামের একটি নদীর সন্ধান পেয়েছিলেন। পরবর্তীতে এই নদী প্লুটো গ্রহে আবিষ্কার করা হয়। বিজ্ঞানীদের (Scientists) মতে এই গ্রহটি পৃথিবী থেকে ছয় বিলিয়ন দূরে অবস্থিত। আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে এই গ্রহ থেকে পাওয়া ওই নদীর সঙ্গে হুবহু যমলোকের মিল রয়েছে।
আরোও পড়ুন : ফ্রি’তে ট্রেনিং থেকে শুরু করে দুর্দান্ত কাজের সুযোগ! কপাল খুলবে বেকারদের, কিভাবে আবেদন করবেন?
যদিও গরুড় পুরাণে যমলোক কেমন, কি সেই বৃত্তান্ত আগে থেকেই দেওয়া রয়েছে। আর শাস্ত্রতে, যেমনভাবে যমপুরীর ব্যাখ্যা দেওয়া রয়েছে ঠিক তেমনি মিল পাওয়া গিয়েছে এই নদীর সঙ্গে। তবে এই নিয়ে নিশ্চিত কিছু তারা বলতে পারেননি। তবে পুরাণে যেভাবে যাত্রাপথের উল্লেখ রয়েছে এখানকার যাত্রা পথের সাথে তেমন মিল রয়েছে। আর এ বিষয় নিশ্চিত করতে বিজ্ঞানীরা (Scientists) এখনো সেই রহস্য উন্মোচনের চেষ্টায় রয়েছেন।
যমপুরী বা যমলোক যাই বলেন না কেনো এর ঠিকানা তো জানলেন তবে কারা এখানে যায়, একবার জেনে নিন। গরুড় পুরাণ মতে, শরীর হচ্ছে তিন প্রকার। স্থূল শরীর কারণ শরীর ও সূক্ষ্ম শরীর। প্রত্যেকটি শরীরের সাথেই প্রত্যেকটি শরীরের যোগ সূত্র রয়েছে। শাস্ত্রমতে কারণ শরীর হলো আত্মার শরীর, যা স্থুল শরীরের মাধ্যমে যমলোকে যাত্রা করে। যদি বিজ্ঞানীদের কথা মতো প্লুটো গ্রহের ওই নদী যমলোক হয়ে থাকে তাহলে আত্মারা এখানেই পৌঁছান। তবে নিশ্চিত নয়