এবার বদলে যাবে পৃথিবীর ইতিহাস! ঘন জঙ্গলের মধ্যে বিজ্ঞানীরা সন্ধান পেলেন ৪১৭ টি সুপ্রাচীন রহস্যময় শহরের

বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার এক চমকপ্রদ তথ্য সামনে এসেছে। মূলত, দক্ষিণ আমেরিকায় (South America) গবেষণারত বিজ্ঞানীরা (Scientists) এমন একটি আবিষ্কার করেছেন যা রীতিমতো অবাক করে দিয়েছে সবাইকে। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, বিজ্ঞানীরা ৪১৭ টি প্রাচীন মায়া শহর আবিষ্কার করেছেন। গুয়াতেমালার ঘন জঙ্গলে এই সব শহরের সন্ধান পাওয়া গেছে।

জানা গিয়েছে, এই শহরগুলি প্রায় ৩ হাজার বছরের পুরোনো। আমেরিকা এবং গুয়াতেমালার প্রত্নতাত্ত্বিকদের দল এই শহরগুলি আবিষ্কার করেছে। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন যে, এই সমস্ত শহরগুলি একে অপরের সাথে ১৭৭ কিলোমিটার দীর্ঘ “হাইওয়ে” দ্বারা সংযুক্ত ছিল। শুধু তাই নয়, এহেন বড় আবিষ্কার এবার ঐতিহাসিকদের মায়া সভ্যতা নিয়ে নতুন করে ভাবতে বাধ্য করেছে।

বিজ্ঞানীদের মতে, এই শহরগুলি প্রায় ১,০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে তৈরি হয়েছিল। এই প্রসঙ্গে ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একটি রাস্তা সহ শহরগুলির নেটওয়ার্ক, হাইড্রোলিক সিস্টেম এবং কৃষিকাজের জন্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো প্রমাণ করে যে, ৩ হাজার বছর আগে মধ্য আমেরিকায় বসবাসকারী মায়া সভ্যতার মানুষেরা অনেক বেশি উন্নত ছিল। রাডার প্রযুক্তির সাহায্যে আবিষ্কারটি করা হয়েছে। মূলত, এটি হাজার হাজার বছর ধরে ঘন জঙ্গলের ভিতরে লুকিয়ে থাকা কাঠামোর মানচিত্র তৈরি করতে ব্যবহৃত হয়।

মায়া সভ্যতা বিশ্বের সবচেয়ে বড় রহস্যের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে: এদিকে, এই আবিষ্কারের পর আমেরিকা মহাদেশের ইতিহাসে ব্যাপক পরিবর্তন আসতে পারে। নথি অনুসারে, এই আবিষ্কারগুলি মায়া সভ্যতার আর্থ-সামাজিক সংগঠন এবং রাজনৈতিক শক্তির আভাস দেয়। ২০১৫ সাল থেকে, আমেরিকা এবং গুয়াতেমালার বিজ্ঞানীদের এই দল মধ্য আমেরিকার মায়া সভ্যতার মানচিত্র তৈরি করছেন। এই বিজ্ঞানীরা লাইডার প্রযুক্তি ব্যবহার করছেন।

WhatsApp Image 2023 05 28 at 8.58.21 PM

এদিকে, এই প্রযুক্তির সাহায্যে, বিজ্ঞানীরা প্রাচীন বাঁধ, জলাধার, পিরামিড, প্ল্যাটফর্ম, রাস্তার নেটওয়ার্কের মতো অংশ প্রভৃতি সম্পর্কে জানতে পারেন। এই আবিষ্কারের সঙ্গে যুক্ত বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এটি মিশরের পিরামিডের মতোই একটি গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক আবিষ্কার হতে পারে। বিজ্ঞানীরা আরও জানিয়েছেন যে, এই সভ্যতা ৮৫০ থেকে ১,০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দের মধ্যে পতনের পথে অগ্রসর হয় এবং অবশেষে পতনও ঘটে। এমতাবস্থায়, এটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় রহস্যের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর