বাংলাহান্ট ডেস্কঃ পৃথিবীর (earth) মত আর কোনো গ্রহে (earth) প্রাণের( life) অস্তিত্ব আছে কি না তা নিয়ে মানুষের জল্পনা বহুদিনের। বহুদিন আগে থেকেই পৃথিবীর বাইরে থাকা প্রানীদের নিতে তৈরি হয়েছে এলিয়েন থিয়োরি। এই এলিয়েনদের নিয়ে লেখা হয়েছে হাজার হাজার কল্পকাহিনি ও স্পেস ফিকশন ফিল্ম। কেউ কেউ তো এক ধাপ এগিয়ে এলিয়েন দেখারও দাবি করে থাকেন। যদিও পৃথিবীর বাইরে প্রাণের অস্তিত্ব এখনো প্রমাণিত নয়। এবার বিজ্ঞানীমহল মনে করছেন একটি গ্রহে পাওয়া যেতে পারে প্রাণের অস্তিত্ব।
কিছুদিন আগে কয়েকজন বিজ্ঞানী প্রক্সিমা সেন্টারাই এর প্রক্সিমা বি গ্রহকেই মানুষের পরবর্তী বাসস্থান হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। সূর্য থেকে ৪.২ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত মানব বসতি নির্মাণ এর জন্য উপযুক্ত বলে মনে করছেন তারা। ২০১৬ সালে চিলির HARPS (High Accuracy Radial Velocity Planet Searcher)- এ এটি আবিষ্কার করা হয়। তার পর থেকেই এই গ্রহ সম্পর্কে উৎসুক হয়ে ওঠে বিজ্ঞানী মহল।
পৃথিবীর তুলনায় গ্রহটি ১.৭ গুন বড়। জানা গিয়েছে, গ্রহটি তার নক্ষত্রকে ১১ দিনে প্রদক্ষিণ করে। পৃথিবীর তুলনায় নক্ষত্রের অনেক খানি কাছে থাকলেও বিজ্ঞানীদের ধারনা এই গ্রহের তলের তাপমাত্রা পৃথিবীর মতই। পাশাপাশি এই গ্রহে থাকতে পারে জলও। আর জলের উপস্থিতি যে কোনো স্থানে প্রাণের সম্ভাবনাকে কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয়। তাই বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, এই গ্রহে প্রাণ থাকা সম্ভব। তবে সূর্যের তুলনায় প্রক্সিমা সেন্টরি এর তেজস্ক্রিয়তা ৪০০ গুন বেশী। এই বিরাট তেজস্ক্রিয়তায় প্রাণের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা অত্যন্ত ক্ষীণ।
কিছুদিন আগেই, চিলির এক টেলিস্কোপ দিয়ে প্রথম এই গ্রহটির সন্ধান পান নিউজিল্যান্ডের বিজ্ঞানীরা। গ্রহটির নাম দেওয়া হয়েছে, OGLE-2018-BLG-0677৷ গ্রহটি যে নক্ষত্র কে প্রদক্ষিণ করে তা আমাদের সূর্যের চেয়েও ছোট। সম্ভবত ৬১৭ দিনে ঐ নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ করে গ্রহটি। তিনটি আইডেন্টিক্যাল টেলিস্কোপ দিয়ে চিলি, অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে দেখেন বিজ্ঞানীরা৷ তারা ঐ গ্রহের দিন রাত্রির ওপর বিস্তর গবেষনা চালাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন গবেষক দলের প্রধান হেরেরা মার্টিন।