বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নিলামে উঠছে সারদার (Saradha) সকল সম্পত্তি। ‘সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়া’-র (সেবি) পক্ষ থেকে সকল সম্পত্তি নিলামে তোলা হতে চলেছে। এই প্রসঙ্গে অতীতেই একটি বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছিল আর এবার আরও একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে নিলামের সময়সীমা আরো বাড়ানো হলো। তবে এর মাঝে প্রতারিতদের প্রশ্ন, তবে কি নিলামে ওঠা টাকা জুটবে তাদের ভাগ্যে? এ বিষয়ে অবশ্য সুস্পষ্ট কোন উত্তর মেলেনি।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, আগামী ৯ ই নভেম্বর ই-অকশনের মাধ্যমে সারদার সকল সম্পত্তি নিলামে উঠতে চলেছে। এক্ষেত্রে যারা এই নিলামে অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক, তারা ৩ রা নভেম্বর পর্যন্ত দাখিল করতে পারবেন আবেদন।
সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়া-র পক্ষ থেকে অতীতে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানানো হয়, আবেদনপত্র গ্রহণ করার শেষ সময়সীমা ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত এবং নিলাম ১ লা নভেম্বর। তবে পরবর্তীতে যাতে আরো বেশি সংখ্যক মানুষ নিলামে অংশগ্রহণ করতে পারে, সেই বিষয়টি মাথায় রেখেই এবার নিলামের দিনক্ষণ আরো বৃদ্ধি করা হলো।
বর্তমানে সারদার প্রতারিতদের একটাই প্রশ্ন, নিলামে ওঠা টাকা তারা কি আদৌ হাতে পাবেন তারা? যদিও এই প্রসঙ্গে সুস্পষ্ট কোন ধারণা মেলেনি। এক্ষেত্রে আদালতে এই সংক্রান্ত মামলাটি দীর্ঘদিন ধরেই অগ্রসর হয়ে চলেছে। একাধিক তদন্তকারী সংস্থা তাদের তদন্ত এগিয়ে নিয়ে চলেছে। গ্রেফতার হয়েছে সারদা কর্ণধার সুদীপ্ত সেন থেকে আরো অনেকেই। তবে হাতে টাকা মেলেনি বহু মানুষের! এই পরিস্থিতিতে সারদার সকল সম্পত্তি নিলামে ওঠার মাঝে এ সকল প্রশ্নই বারংবার ঘুরে ফিরে আসছে সকালের মনে।
প্রসঙ্গত, অতীতে সারদা প্রতারণা মামলায় মোট ৫০০ কোটি টাকার তহবিল তৈরি করার ঘোষণা করে তৃণমূল সরকার। পরবর্তীতে বিচারপতি শ্যামল সেনের কমিশনের কাছে ক্ষতিপূরণ বাবদ ২৮৭ কোটি টাকা প্রদান করা হয়। এক্ষেত্রে কমিশন একাধিক বিজ্ঞপ্তি জারি করে এবং পরবর্তীতে প্রায় চার লক্ষ আমানতকারীদের চেক প্রদান করা হয়।
বর্তমানে অবশ্য আদালতে সারদা মামলা চলার পাশাপাশি বিচারপতি শৈলেন্দ্র প্রসাদ তালুকদারের কমিটিকে এই মামলার দায়িত্বভার দেওয়া হয়েছে। এখন প্রশ্ন, আদালতে চলা মামলা এবং সারদার সম্পত্তি নিলামের পরবর্তীতে আদৌ কি এর কোন সুযোগ সুবিধা পাবেন প্রতারিতরা?