বাংলা হান্ট ডেস্ক: সাধারণত কোথাও বিপুল সম্পদ বা দুষ্প্রাপ্য কোনো জিনিস থাকলে সেটির নিরাপত্তার জন্য মোতায়েন করা হয় নিরাপত্তারক্ষীদের। এমনকি অনেকে বাড়ির নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেও রক্ষীদের মোতায়েন করেন। কিন্তু কখনও শুনেছেন যে “আম”-এর নিরাপত্তার জন্য একাধিক কর্মী এবং হিংস্র কুকুরকে কাজে লাগানো হয়েছে। হ্যাঁ, শুনে অত্যন্ত অবাক করা ঘটনা মনে হলেও ঠিক এইরকমই একটি ঘটনা প্রসঙ্গ এবার সামনে এসেছে।
মূলত, মধ্যপ্রদেশের জবলপুরে আম রক্ষার জন্য নিরাপত্তারক্ষীর পাশাপাশি একাধিক সিকিউরিটি ডগকে মোতায়েন করা হয়েছে। এই প্রসঙ্গে টাইমস নাও নিউজের একটি প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে যে, মধ্যপ্রদেশের জবলপুরের বাসিন্দা রানি পারিহার এবং সংকল্প পরিহার এক বিশেষ প্রজাতির আম গাছের নিরাপত্তার কথা ভেবে এই বিশেষ পদক্ষেপ নিয়েছেন।
ইতিমধ্যেই ওই দম্পতি ৪ জন রক্ষী এবং ৬ টি কুকুরকে এই কাজে নিয়োগ করেছেন। জানা গিয়েছে, বিশ্বের সবচেয়ে মূল্যবান আমের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত থাকা মিয়াজাকি আমের নিরাপত্তার জন্যই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এই আম বিক্রি হয় লক্ষ লক্ষ টাকায়:
মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, মিয়াজাকি আম জাপানের মিয়াজাকি এলাকায় পাওয়া যায়। গত বছর এই আম বিক্রি হয়েছিল প্রতি কেজিতে ২.৭ লক্ষ টাকা পর্যন্ত দামে। এই প্রসঙ্গে রানী ও সংকল্প জানান, বছর দু’য়েক আগে কয়েকজন চোর বাগানে ঢুকে এই বহুমূল্য আম চুরি করে পালিয়ে যায়। তারপর থেকেই এই ধরনের ঘটনা ঠেকাতে তাঁরা নিরাপত্তারক্ষী ও কুকুরকে পাহারার কাজে নিযুক্ত করেছেন।
এক অপরিচিত ব্যক্তি ট্রেনে চারাটি দেন:
সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারের সময়ে সংকল্প জানান, কয়েক বছর আগে পর্যন্ত এই আমের প্রজাতি সম্পর্কে তাঁর কাছে কোনো তথ্য ছিল না। কিন্তু, কিছু বছর আগে সংকল্প চেন্নাই যাওয়ার পথে ট্রেনে একজন ব্যক্তির সাথে পরিচিত হন যিনি তাঁকে এই আমের চারাগুলি দিয়েছিলেন। পাশাপাশি, তিনি সংকল্পকে সেগুলিকে নিজের সন্তানের মতো যত্ন নিতে বলেন।
এমতাবস্থায়, সংকল্প বাগানে আমের চারা রোপণ করার সময়েও জানতেন না যে ঠিক কোন প্রজাতির আমের ফলন ঘটবে। যদিও, ওই গাছে আম হওয়ার পর তাঁরা সকলে চমকে যান। কারণ ওই গাছটি ছিল মিয়াজাকি প্রজাতির। এমতাবস্থায়, তাঁরা এই গাছের আমকে ভালোবেসে “দামিনী” বলে ডাকেন।