বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ২০২০-র শেষ মাস থেকে বঙ্গে দলবদলের পালা শুরু হয়েছিল। কেউ তৃণমূল, আবার কেউ সিপিএম ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। কেউ মন্ত্রী, কেউ বিধায়ক আবার কেউ দাপুটে নেতা, প্রাক্তন মেয়র, কাউন্সিলর ইত্যাদি ইত্যাদিদের মধ্যে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার হিড়িক পড়ে গিয়েছিল। এই দলবদলের পালায় সবথেকে বেশি ক্ষতি হয়েছিল তৃণমূলের। কারণ তাঁদের অজস্র নেতা, বিধায়ক, কর্মী, সমর্থকরা বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। আবার তৃণমূলের তরফ থেকে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা হওয়ার পরেও একের পর এক ঘাসফুল নেতা বিজেপির হেস্টিংস দপ্তরে গিয়ে লাইন লাগিয়েছিলেন। আবার টিকিট পেয়েও বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন এরকম নেত্রীও আছেন।
দলবদল করা ওই নেতা-নেত্রীদের অনেককেই প্রার্থী করেছিল বিজেপি। কিন্তু তাঁদের মধ্যে বেশীরভাগই এবার মুখ থুবড়ে পড়েছেন। ২০২০-র ডিসেম্বরে মেদিনীপুরে অমিত শাহের সভা থেকে বিজেপিতে যোগ দেন শুভেন্দু অধিকারী। সেদিনই ওনার হাত ধরে হলদিয়ার তৎকালীন সিপিএম বিধায়ক তাপসী মণ্ডল সহ তৃণমূলের একাধিক বিধায়ক আর সাংসদরা বিজেপিতে নাম লেখান।
কিন্তু তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে নাম লেখানো নেতাদের সিংহভাগই একুশের নির্বাচনে তৃণমূলের কাছেই হেরেছেন। তবে শুভেন্দু অধিকারী, তাপসী মণ্ডল, নাটাবাড়ির বিধায়ক মিহির গোস্বামী, শিলিগুড়ির সিপিএম নেতা শঙ্কর ঘোষ, অভিনেতা হিরণ চট্টোপাধ্যায় দলবদল করেও এবার জয়ী হতে পেরেছেন। এদের মধ্যে সবথেকে উল্লেখযোগ্য হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারানো শুভেন্দু অধিকারী।
আরেকদিকে, খড়দহের শিলভদ্র দত্ত, নোয়াপাড়ার সুনীল সিংহ, শান্তিপুরের প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্য, কংগ্রেসের নেতা সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, বালির প্রাক্তন বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়া, উত্তরপাড়ার প্রাক্তন বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল, সিঙ্গুরের মাস্টারমশাই রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য, কালনার প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক বিশ্বজিৎ কুণ্ডু, মন্তেশ্বরের প্রাক্তন বিধায়ক সৈকত পাঁজা, পাণ্ডবেশ্বরের প্রাক্তন বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারি, অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ, দীপ্তাংশু চৌধুরী এবার বিজেপির হয়ে লড়েও জয় ছিনিয়ে নিতে পারেন নি।