বাংলাহান্ট ডেস্কঃ এই কি ভালোবাসার পরিণাম। প্রেম আসে নীরবে, কিন্তু তা কি চলে যায় নীরবে। এমন এক ঘটনা প্রকাশ পেয়েছে উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) মহোবায় জেলায়।
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রেমিকের বাবা-মা দিল্লিতে চাকরি করেন। চাকরি সূত্রে তারা দু’জনেই দিল্লীতে থাকেন। আর তার ছেলে বাড়িতে একা থাকতেন। মওরানিপুরের ডিগ্রি কলেজের বিএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। গত দু’বছর ধরে তার এক গ্রামের মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। প্রেমিকের বাড়িতে কেউ না থাকার দরুন মেয়েটি প্রায়দিন ছেলেটির বাড়িতে আসতেন।
মঙ্গলবার মেয়েটি ছেলেটির বাড়িতে গিয়েছেলেন। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, ১ ঘণ্টা হয়ে গেলেও মেয়েটি বাইরের বেরোয়নি। তখন তারা ডাকাডাকি শুরু করে। কোনও সাড়া না পেয়ে মেয়েটির বাবা ও তার পরিবারকে খবর দেয়। খবর পেয়ে তারা ছুটে আসে। তারাও অনেকেক্ষন ধরে ডাকাডাকি করেন কিন্তু কোনও রকম সাড়া না মেলায় মেয়েটির বাবা যুবকের বাড়ির দরজা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে। কিন্তু সেখানে মেয়েটিকে দেক্তে পাননি। পাশের একটি ঘরে একটি তালা দেখে মেয়েটির বাবার সন্দেহ হয়। তিনি গ্রামবাসীর সহায়তায় তালা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে। এবং দেখেন মেয়েটির লাশ ঝুলছে।
গ্রামবাসীরা ছেলেটিকে খুজে বার করেন। মৃতার বাবা ও গ্রামবাসীরা মিলে যুবকটিকে প্রচণ্ড মারধর করেন। খবর পেয়ে পুলিস ঘটনাস্থলে আসেন। এবং ছেলেটিকে গ্রামবাসীদের হাত থেকে বাচানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু গ্রামবাসীরা ক্ষিপ্ত থাকায় পুলিসকে তারা ইট, পাথর ছুড়তে থাকেন। ছেলেটিকে জিজ্ঞাসা করলে সে বলে মেয়েটি আত্মহত্যা করেছে। কিন্তু একথা মানতে নারাজ মৃতের পরিবার। পুলিস ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। এবং মেয়টির দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছেন। খুন নাকি আত্মহত্যা ঘটনার তদন্তে পুলিস।