‘তোলাবাজ, চাষ করতে দিত না!” ভূপতিনগর বোমা বিস্ফোরণে মৃত তৃণমূল নেতাকে নিয়ে অভিযোগ স্থানীয়দের

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শনিবার কাঁথিতে (Kanthi) তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) সভার আগের রাতেই ভয়াবহ বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে উঠল পূর্ব মেদিনীপুরের (East Midnapur) ভূপতিনগর (Bhupatinagar) থানা এলাকার অর্জুননগর অঞ্চলের নাড়ুয়া বিড়লা গ্রাম। বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার রাত ১১ টা নাগাদ। অভিষেকেরর সভাস্থল থেকে ভূপতিনগরের দূরত্ব মাত্র ৪০ কিলোমিটার। সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা যাচ্ছিল বোমা বিস্ফোরণে তৃণমূলের বুথ সভাপতি সহ ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।

সূত্রের খবর, ভূপতিনগর বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছে তিনজনের। দাবি করা হচ্ছে, ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের বুথ সভাপতি রাজকুমার মান্না, তাঁর ভাই দেবকুমার মান্না ও বিশ্বজিৎ গায়েন নামক একজনের। রাজকুমার মান্নার বাড়িতে বোম বাঁধার কাজ চলছিল। সেই সময়ই এই বিস্ফোরণ ঘটে।
এবার সেই মৃতদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগে সরব হলেন স্থানীয় মানুষজন।

স্থানীয়দের অভিযোগের বান : এলাকার মানুষজনকে পার্টি অফিসে গিয়ে পেটাত মৃত তৃণমূল নেতা রাজকুমার মান্না। শুধু তাই নয়, বিগত ১২ বছর ধরে গ্রামের ৫০ থেকে ৬০ বিঘা জমিতে কেউ চাষ করতে পারত না। রাজকুমার, দেবকুমার এবং বিশ্বজিৎকে ‘দুষ্কৃতী’ আখ্যা দিয়ে অনেকে অভিযোগ করেছে, বোমা বন্দুক নিয়ে এলাকা দাপিয়ে বেড়াত তারা। সাথেই, বিস্ফোরণের মাত্রা এতটাই তীব্র ছিল যে রাজকুমারের বাড়ির ছাদও উড়ে যায়।

এঘটনায় বিজেপির বিজেপির অভিযোগ, বিস্ফোরণে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। তবে স্থানীয় পুলিশ মৃতদেহ লোপাট করে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে। ভগবানপুরে বিধায়ক তথা বিজেপি নেতা রবীন্দ্রনাথ মাইতি এই ঘটনা প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘পুলিশের উপস্থিতিতে মৃতদেহ গায়েব করার চক্রান্ত চলছে। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি না করে পশ্চিম মেদিনীপুরে নিয়ে যাচ্ছে।’

এলাকাবাসী ও বিরোধীদের দাবি অবশ্য মানতে নারাজ তৃণমূল নেতা রাজকুমারের স্ত্রী। স্থানীয় পুলিশি তদন্তের ওপর ভরসা না করে বিরোধী শিবির এই বিস্ফোরণের রহস্য উন্মোচন করতে এনআইএ তদন্তের দাবি জানিয়েছে।


Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর