বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দুর্গাপুরের নারকীয় ধর্ষণ কাণ্ডে (Durgapur Rape Incident) বড় মোড়। অবশেষে গ্রেপ্তার হলেন নির্যাতিতারই সহপাঠী। সোমবার রাতেই তাঁকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের কমিশনার সুনীল কুমার চৌধুরী জানিয়েছেন, “সহপাঠীর ভূমিকা সন্দেহজনক। ঘটনার পুনর্নির্মাণের পর তার বিরুদ্ধে যথেষ্ট তথ্য পাওয়া গেছে।”
ঘটনার (Durgapur Rape Incident) পুনর্নির্মাণের পরেই উদ্ধার হয় চাঞ্চল্যকর তথ্য
সোমবার ডিসিপি অভিষেক গুপ্তার নেতৃত্বে একটি বড় টিম দুর্গাপুর মেডিক্যাল কলেজের পেছনের জঙ্গলে যায়। সেখানে নির্যাতিতা ও অভিযুক্তদের আলাদা করে নিয়ে ঘটনার (Durgapur Rape Incident) পুনর্নির্মাণ করা হয়। হাসপাতালের গেট থেকে জঙ্গলের ভেতর পর্যন্ত যে রাস্তা ধরে নির্যাতিতা ও তাঁর সহপাঠী গিয়েছিলেন, সেটিও খতিয়ে দেখে পুলিশ। পরে ধৃতদের পরনে থাকা পোশাক উদ্ধার হয়।
ঘটনার পুনর্নির্মাণ শেষে পুলিশ জানায়, সহপাঠীর বক্তব্য ও প্রমাণের মধ্যে স্পষ্ট অসঙ্গতি মিলেছে। সেই কারণেই গ্রেপ্তার করা হয় তাঁকে।
নির্যাতিতার গোপন জবানবন্দিতে চাঞ্চল্যকর তথ্য
গোপন জবানবন্দিতে নির্যাতিতা জানিয়েছেন, তাঁকে একটি নির্জন রাস্তায় নিয়ে যাওয়া হয় এবং তিন দুষ্কৃতী তাঁকে ঘিরে ধরে। সেই সময় সহপাঠী কেন তাঁকে ছেড়ে চলে গেলেন, কেন পরে ফোন থাকা সত্ত্বেও কলেজ কর্তৃপক্ষ কিংবা পুলিশকে কিছু জানাননি এই প্রশ্ন তুলেছেন নির্যাতিতা নিজেই। নির্যাতিতা তাঁর বয়ানে জানান, “একজনই ধর্ষণ করেছে।” পুলিশের দাবি, পাঁচজন অভিযুক্তের মধ্যে বাকি চারজন ঘটনা স্থলে উপস্থিত ছিলেন, যার প্রমাণও মিলেছে। সহপাঠীর ভূমিকা নিয়েও রয়েছে গভীর প্রশ্ন।
পুলিশ জানিয়েছে, নির্যাতিতার মেডিক্যাল রিপোর্টে ধর্ষণের স্পষ্ট ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, যৌনাঙ্গে ক্ষতচিহ্ন, ভিতরের চামড়া ছিঁড়ে যাওয়া এবং প্রবল রক্তপাতের ঘটনা ঘটেছে। সিপি চৌধুরীর কথায়, “সহপাঠীকে বারবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাঁর জামাকাপড়ও সিজ করা হয়েছে।” এই ঘটনায় বিএনএস ছিনতাইয়ের অভিযোগে ৩০৪(২), ৩০৮(২), তোলাবাজি ও ৩১৭(২) ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ “ভবানীপুরে ১ লক্ষ ভোটে জিতবেন মমতা”, তৃণমূল টার্গেট ঠিক করতেই পাল্টা আসরে বিজেপি
ঘটনার (Durgapur Rape Incident) তদন্তে ক্রমে নতুন নতুন দিক উঠে আসছে। পুলিশের অনুমান, সহপাঠী হয়ত ঘটনার আগে থেকেই কিছু জানতেন বা পরোক্ষভাবে জড়িত ছিলেন। তাই আপাতত তাঁর ভূমিকা পুলিশের সন্দেহের তালিকার শীর্ষে।