চেয়েছিলেন ছেলে হোক, পরপর জন্ম নিয়েছিল ৭ মেয়ে! সেই ‘কন্যাদায়গ্রস্ত পিতা’ই আজ এক গর্বিত বাবা

বাংলাহান্ট ডেস্ক : কন্যা সন্তান মানেই সংসারের বোঝা। কন্যা সন্তানের জন্ম হওয়া মানেই পরিবারে নেমে আসে শোকের ছায়া। মধ্যযুগ নয়, এই শতাব্দীতে দাঁড়িয়েও ভারতের বহু জায়গায় এমন চিত্রই দেখা যায়। পুত্র সন্তানের আশায় একের পর এক প্রসবের ঘটনা যেমন দেখা যায়, তেমনই দেখা মেলে কন্যা ভ্রূণ বা কন্যা সন্তান হত্যার ঘটনা।

তবে বিহারের (Bihar) এক আটা মিলের কর্মী তার কন্যা সন্তানদের জন্যই এখন গর্বিত। বিহারের বাসিন্দা রাজকুমার সিংয়ের ৭ মেয়ে ও এক ছেলে। ৭ কন্যা সন্তানের জন্য প্রতিনিয়ত তাকে নানা ধরনের ব্যঙ্গ-বিদ্রুপের মুখোমুখি হতে হত। সহ্য করতে হত আত্মীয়-প্রতিবেশীদের কটাক্ষ। কীভাবে মেয়েদের বিয়ের খরচ সামলাবেন, পণের টাকা জোগাড় হবে কী করে, এইসব ভাবনা গিলে খেত তাকে।

আরোও পড়ুন : এক্কেবারে কম সুদ, সঙ্গে পাবেন স্পেশাল ডিসকাউন্ট! হোম লোনে দুর্দান্ত অফার SBI’র

তবে একদা ‘কন্যাদায়গ্রস্তু’ পিতা রাজকুমার এখন এক গর্বিত পিতা। আটার মিলে কাজ করে খুব কষ্ট করে সংসার চালাতন রাজকুমার। একটা ঘরেই এক সময় থাকতেন ৮ সন্তানকে নিয়ে। তবে বর্তমানে রাজকুমারের প্রত্যেকটি মেয়ে পুলিশ কর্মী। যে মেয়েদের ভবিষ্যত নিয়ে রাজকুমার চিন্তা করতেন, সেই মেয়েরাই আজ রাজকুমারের ভবিষ্যৎ হয়ে দাঁড়িয়েছেন।

img 20240201 121427

রাজকুমারের সাত কন্যা সন্তান পরীক্ষা দিয়ে পুলিশ কর্মী হয়েছেন। বর্তমানে বিহার পুলিশে কর্মরত রাজকুমারের বড় মেয়ে রানী। দ্বিতীয় কন্যা এসএসবি-তে, তৃতীয় কন্যা সিআরপিএফ-এ, চতুর্থ কন্যা প্রীতি ক্রাইম ব্রাঞ্চে, পঞ্চম কন্যা পিঙ্কি আবগারি পুলিশে, ষষ্ঠ কন্যা বিহার পুলিশে এবং সপ্তম কন্যা ননহি কুমারী জিআরপি-তে কাজ করছেন।

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর