বাংলাহান্ট ডেস্ক : বঙ্গ জুড়ে এখন বর্ষার মৌসুম। উত্তর থেকে দক্ষিণ, ভিজছে বর্ষার জলে। এমন অবস্থায় বাঙালির পাতে খিচুড়ি-আলু ভাজার সাথে ইলিশ মাছ একেবারে কম্পালসারি বলা যায়। ইলিশের নাম শুনলেই বাঙালির জিভে জল চলে আসে। হবে নাই বা কেন! জলের এই রুপালী শস্যকে আমরা সবাই মাছের রাজা বলেই চিনি। আসলে সারা বছরই বাজারে ইলিশ মাছের চাহিদা থাকে তুঙ্গে।
বর্ষা এসে যাওয়া মানেই মৎস্যজীবীদের জালে ধরা পড়তে শুরু করে ছোট-বড় বিভিন্ন সাইজের ইলিশ মাছ (Hilsa)। কিন্তু যে হারে ইলিশ মাছের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে তাতে বাজারে গিয়ে সাথে ইলিশ মাছ কেনা অনেকের পক্ষেই দুঃসহ ব্যাপার হয়ে ওঠে। দাম শুনেই রীতিমতো ছ্যাঁকা খেয়ে ওঠেন অনেকে।
কিন্তু বর্ষার সময় ওপার বাংলার পদ্মা থেকে এপার বাংলায় আসে ইলিশ।
সেই ইলিশের স্বাদ সত্যিই অতুলনীয়। ১৪০০ থেকে ২০০০ টাকার মধ্যে ঘোরাফেরা করে সেই সব ইলিশ মাছের দাম। তবে দামের তোয়াক্কা না করেই ইলিশ প্রেমীরা বর্ষার সময় মুখর হয়ে থাকেন পদ্মার ইলিশের স্বাদ চেখে দেখার জন্য। তবে পুরোদমে বর্ষা শুরুর আগেই এবার নামখানাতে (Namkhana) ঢুকেছে মৌসুমের প্রথম ইলিশ।
সূত্রের খবর, বাংলাদেশ সরকারের নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর গত ১৪ই জুন মৎস্যজীবীরা গভীর সমুদ্রে পাড়ি দেন ইলিশের সন্ধানে। এরপর নামখানাতে ফিরে এসেছেন সেই মৎস্যজীবীরা। সাথে নিয়ে এসেছেন ১০ টন ইলিশ। মনে করা হচ্ছে এবার ইলিশ মাছ আসতে শুরু করবে ডায়মন্ড হারবার, কাকদ্বীপ, নামখানা সহ বিভিন্ন মৎস্যবন্দর ও বাজারগুলিতে।
জানা গেছে বঙ্গোপসাগরে ইলিশ মাছের সন্ধানে গত সপ্তাহে বেশ কিছু ট্রলার পাড়ি দিয়েছিল। সপ্তাহ শেষে সেই ট্রলারগুলি একে একে ফিরে আসছে। বর্তমানে এ রাজ্যের বিভিন্ন বাজারে ৫০০ গ্রাম ইলিশ ৬০০ টাকা প্রতি কেজি ও এক কেজি ও তার অধিক ওজনের ইলিশ হাজার টাকা প্রতি কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।