বাংলাহান্ট ডেস্ক : দুটো স্টেশনের যাত্রাই হোক কিংবা দু’দিনের জার্নি, আজ থেকে আশি সকলেই ভরসা রাখেন ট্রেনের ওপর। দুরন্ত গতিতে ছুটে চলা ট্রেন আর জানলার ধারের একটা সিট সব মিলিয়ে আমজনতার কাছে ট্রেন জার্নিই সবচেয়ে আরামদায়ক। তবে, শুধুমাত্র আরামদায়ক বললে কম বলা হবে কারণ ট্রেন সফর (Train Journey) সকলের কাছে বেশ সস্তারও। তাই, ভারতের (India) নানান প্রান্তে ভ্রমণ থেকে শুরু করে নিজের প্রয়োজনের জন্য সকলেই ভরসা রাখেন ভারতীয় রেলের (Indian Railway) উপর।
এদিকে, ভারতীয় রেলের তরফেও জনসাধারণের সুবিধার্থে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে যেমন নতুন ট্রেনের জয়যাত্রা হয়েছে ঠিক তেমনই রেল কর্তৃপক্ষ আরোও উন্নত করে তুলেছে তাদের পরিষেবাকে। বন্দে ভারত, রাজধানী, শতাব্দী থেকে শুরু করে তুফান মেল, দুরন্ত এক্সপ্রেসের মতো ট্রেনগুলো সবসময়েই জনসাধারণের পছন্দের তালিকায় রয়েছে। তবে, আজ আমরা আপনাদেরকে এমন একটি ট্রেনের কথা বলব যেটি সম্পর্কে তেমন চর্চা না হলেও যারা এই ট্রেনটিতে একবার চড়েছেন তাদের কাছে ট্রেন জার্নিটা রীতিমতো ‘মেমোরেবল’ হয়ে রয়েছে।
ট্রেনটির নাম শব্দভেদী এক্সপ্রেস (Sabd bhedi Express)। সাধারণত, দূরপাল্লার ট্রেনগুলি হাওড়া (Howrah) অথবা শিয়ালদা (Sealdah) থেকে ছাড়লেও এই ট্রেনটির চাকা গড়ায় কলকাতা স্টেশন (Kolkata Station) থেকে। দুটো রুটে চলে এই শব্দভেদী এক্সপ্রেস। একটি কলকাতা থেকে গাজিয়াপুর সিটি আরেকটি অবশ্য কলকাতা থেকে বারাণসী। কলকাতা থেকে গাজিয়াপুর সিটির রুটে দুর্গাপুর, আসানসোল জংশন, মধুপুর জংশন, জশিডি জংশন, ঝাঁঝা, কিউল জংশন, হাথিদাহ জংশন, বক্তিয়াপুর জংশন, পাটনা জংশন, পাটালিপুত্র জংশন , দিঘাওয়ারা, ছাপড় জংশন, বাল্লিয়া স্টেশন পড়ে।
ট্রেনটিতে AC 2 টায়ার, AC 3 টায়ার, স্লিপার কোচ রয়েছে। তাছাড়া, IRCTC-র ওয়েবসাইট অনুযায়ী, সেকেন্ড সিটিং (2s) সিটও রয়েছে এই ট্রেনে। তবে তা বর্তমানে ‘NOT AVAILABLE’ রয়েছে। শব্দভেদী এক্সপ্রেসে স্লিপার ক্লাসের ভাড়া রয়েছে 400 টাকা। AC 3 টায়ার ক্লাসের জন্য আপনাকে গুনতে হবে 1085 টাকা এবং AC 2 টায়ারের জন্য বরাদ্দ ভাড়া 1545 টাকা। দুটি ট্রেনের ক্ষেত্রেই ভাড়ার পার্থক্য খুবই সামান্যই। রেলযাত্রীরা দাবি করেছেন, ট্রেনটির পরিষেবা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা খুবই ভালো।
তবে, একটি মজার বিষয় হল ট্রেনটি সম্পর্কে অনেকেই খুব বেশি জানেন না কারণ ট্রেনটি প্রতি সপ্তাহে মাত্র একবারই ছাড়ে। প্রতি রবিবার রাত 8টা বেজে 05 মিনিটে ট্রেনটি ছাড়ে কলকাতা স্টেশন থেকে, সেটি গাজিয়াপুর পৌঁছায় পরের দিন সকাল 10টা বেজে 15 মিনিটে। অন্যদিকে, বারাণসী যাওয়ার ক্ষেত্রে ট্রেনটি কলকাতা থেকে ছাড়ে বৃহস্পতিবার রাত 10টা বেজে 45 মিনিটে। সেটি বারণসী গিয়ে পৌঁছায় পরের দিন সকাল 10টায়। বারাণসী থেকে ট্রেনটি আবার গাজিয়াপুর সিটি-তেই যায়।