বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: অবশেষে শেষ হলো প্রায় এক মাসের যাত্রা। ১৬টি দলের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর ফাইনালে পাকিস্তানকে হারিয়ে আরো একবার বিশ্ববিজয়ী হল ইংল্যান্ড। তিন বছর আগে তারা ওডিআই ফরম্যাটে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। যদিও সেবার তাদের বিশ্বসেরা হওয়া নিয়ে ছিল একাধিক বিতর্ক। তবে এবার কোনরকম বিতর্ক নয়, যোগ্য দল এবং জনতার ডার্লিং হিসেবেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতলেন বাটলাররা।
এই বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড়ের সম্মানটি তুলে দেওয়া হয়েছে ইংল্যান্ডের বাঁ হাতি পেসার স্যাম ক্যারানের হাতে। চলতি টুর্নামেন্টে তিনি মোট ১৩ টি উইকেট নিয়ে বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রহ করেছেন। সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক শ্রীলঙ্কার ওয়ারিন্দু হাসারাঙ্গার থেকে ২ টি উইকেট কম তুলেছেন তিনি। যদিও হাসারাঙ্গা প্রথম রাউন্ড খেলার সুযোগ পাওয়ায় ক্যারানের থেকে একটি ম্যাচ বেশি খেলেছেন। ভারতের বিরুদ্ধে সেমিফাইনালের ম্যাচটি বাদে বাকি প্রত্যেকটি ম্যাচেই সফল হয়েছেন এই তরুণ পেসার।
যদিও টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কার পেয়ে ক্যারানের গলায় শোনা গিয়েছে বিরুদ্ধ সুর। তিনি বলেছেন, “আমার খুবই ভালো লাগছে। এই পুরস্কারটা সব সময় আমার কাছে বিশেষ হয়ে থাকবে। কিন্তু আমার মনে হয় না যে আমি এটার যোগ্য ছিলাম। আমার মনে হয় বেন স্টক্স আজকে এবং গোটা টুর্নামেন্টে যে দুর্দান্ত ভঙ্গিতে ক্রিকেট খেলেছেন, ফাইনালের মতো একটা গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে অর্ধশতরান করে দলকে জিতিয়ে ফিরেছেন, তারপরে এই পুরস্কারটা তারই প্রাপ্য ছিল। তবে আপাতত আমরা মুহূর্তগুলো উপভোগ করছি।”
পাকিস্তানের লড়াইকে কুর্নিশ জানাতেও ভোলেননি ক্রিকেটপ্রেমীরা। ভারত এবং জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে টুর্নামেন্টের প্রথম দুটি ম্যাচে পরপর হারের পর যেভাবে তারা ঘুরে দাঁড়িয়ে এবং কিছুটা ভাগ্যের সহায়তা পেয়ে পরপর ম্যাচটিতে ফাইনালে পৌঁছেছিলেন সেই ঘটনার প্রশংসা করেছেন অনেকেই। আজকেও তারা ইংল্যান্ডকে একপেশে ভাবে ম্যাচ জিততে দেননি।
অনেকেই বলছেন যে ১৬তম ওভারের প্রথম বলটি করার পর যদি শাহিন আফ্রিদিকে হাঁটুতে চোট নিয়ে চোখে জল সহ বাধ্য হয়ে মাঠ ছাড়তে না হত, তাহলে হয়তো ম্যাচটা পাকিস্তানের দিকে ঝুঁকেও যেতে পারতো। তার বদলে ওই ওভারটিক সম্পূর্ণ করতে আসা ইফতিকার আহমেদ ৫ বলে ১৩ রান দেন। আরো সকলের মত শচীন টেন্ডুলকারো নিজের সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্ট থেকে পোস্ট করে এই কথা জানিয়েছেন যে যদি স্বাধীন সে সত্যে মাঠে থাকতে পারতেন তাহলে হয়তো ম্যাচের মোড় ঘুরে যেত পাকিস্তানের দিকে। তবে তারপরে তিনি ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলকে শুভেচ্ছা জানাতেও ভোলেননি।