বাংলাহান্ট ডেস্ক : নেতিবাচক প্রচারের কথা তো নিশ্চয়ই শুনেছেন। গৌরী খানের (Gauri Khan) রেস্তোরাঁর সঙ্গেও কার্যত ঘটেছে তেমনটাই। মাস খানেক আগে এই রেস্তোরাঁয় ভেজাল পনির দেওয়ার অভিযোগ করেছিলেন এক ইউটিউবার। বিষয়টা নিয়ে সে সময়ে ব্যাপক জলঘোলা হয়েছিল। অনেকেই মনে করেছিলেন, বিতর্কের প্রভাব পড়তে পারে গৌরীর (Gauri Khan) রেস্তোরাঁয়। কিন্তু পরে দেখা গেল, আদতে লাভ হয়েছে শাহরুখ-পত্নির। আয় বেড়েছে রেস্তোরাঁর। সোশ্যাল মিডিয়ায় বেড়েছে ফলোয়ারও।
গৌরী খানের (Gauri Khan) রেস্তোরাঁ নিয়ে বিতর্ক
মুম্বইতে গৌরীর (Gauri Khan) রেস্তোরাঁ ‘তরীর’ বয়স এক বছরের কিছু বেশি। ঝাঁ চকচকে এই রেস্তোরাঁতেই খাবারের গুণগত মান পরীক্ষা করতে গিয়ে বিষ্ফোরক রিভিউ দিয়েছিলেন জনপ্রিয় ফুড ব্লগার সার্থক সচদেব। তাঁর শেয়ার করা ভিডিওতে দেখা গিয়েছিল, পরিবেশন করা পনিরের উপরে আয়োডিন ফেলতেই তা পুরো কালো হয়ে যায়। সাধারণত স্টার্চের উপস্থিতি পরীক্ষা করতেই এই পরীক্ষা করা হয়ে থাকে। এর আগে বিরাট কোহলি, শিল্পা শেট্টি, ববি দেওলের মতো তারকাদের রেস্তোরাঁর খাবার পরীক্ষা করে ভালো রিভিউ দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তরীর পনিরের অবস্থা দেখে চমকে যান সার্থক। শাহরুখ খানের রেস্তোরাঁয় নকল পনির পরিবেশন করা হয় বলে অভিযোগ তুলেছিলেন তিনি।
ভিডিও নিয়ে ওঠে প্রশ্ন: সেই ভিডিও ভাইরাল হতেই প্রশ্ন উঠে যায় নেটপাড়ায়। তবে কি মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে ভেজাল পনির পরিবেশন করা হচ্ছে গৌরীর (Gauri Khan) রেস্তোরাঁয়? বিতর্ক মাথাচাড়া দিয়ে উঠলেও তাতে ক্ষতির বদলে লাভই হয়েছে। সম্প্রতি গৌরীর রেস্তোরাঁর হেড শেফ জানিয়েছেন, বিতর্কের পর থেকে রেস্তোরাঁর ব্যবসা বেড়ে গিয়েছে।
আরো পড়ুন : গলা পর্যন্ত ঋণে ডোবা অবস্থায় টিকল না ভারত-বিদ্বেষ, ক্যাটরিনাকে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব এই দেশের
কী বললেন হেড শেফ: এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ওই রেস্তোরাঁয় যেমন উপকরণ দিয়ে খাবার প্রস্তুত করা হয় তা অত্যন্ত উচ্চমানের। ওখানে কীভাবে কাজ হয় তা জানাতেই বিবৃতি প্রকাশ করেছিলেন তাঁরা। বর্তমানে ফুড সায়েন্স, রসায়ন ইত্যাদি নিয়ে নানান পরীক্ষা নিরীক্ষা হয়ে থাকে। ওই ইউটিউবার পরিষ্কার মনেই খাবারের মান যাচাই করতে এসেছিলেন। এখন কুলিনারি ওয়ার্ল্ডে কীভাবে কাজ করা হয় সে কথা তাঁকে বুঝিয়ে বলতে তিনি ভিডিওটি সরিয়ে দিয়েছেন।
আরো পড়ুন : স্কুলের গণ্ডিও পেরোননি এখনো, বাবার স্বপ্নপূরণ করতে ফের নতুন চরিত্রে ফিরছেন অভিষেক-কন্যা সাইনা
এছাড়াও পুষ্টিবিদদের মতেও, আয়োডিন টেস্টের মাধ্যমে সবসময় পনির নকল কিনা তা বোঝা সম্ভব নয়।তারপরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় গৌরীর রেস্তোরাঁর ফলোয়ার বাড়তে শুরু করেছে। সেই সঙ্গে ওই ইউটিউবার এর ভিডিওর উদ্দেশ্য নিয়েও উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন।