বাংলাহান্ট ডেস্ক: বলিউডের কিং খান তিনি। বাদশাহী জীবনযাপনে অভ্যস্ত শাহরুখ খান (Shahrukh Khan)। তথাকথিত ‘বহিরাগত’ হয়ে তিল তিল করে ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের জায়গা তৈরি করেছেন তিনি। আজ গোটা বিশ্ব তাঁকে এক ডাকে চেনে। হলিউডের নামজাদা তারকারাও শাহরুখ খান বলতে অজ্ঞান। এমন একজন তারকার চাহিদাও যে বেশি হবে তা তো বলার অপেক্ষা রাখে না।
বলিউডের সবথেকে দামি তারকাদের মধ্যে একজন শাহরুখ। সূত্রের খবর মানলে, তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ আনুমানিক ৫৩০০ কোটি টাকা। এক একটি ছবির জন্য ৭০-৮০ কোটি টাকার কমে নেন না তিনি। আর ব্র্যান্ডের বিজ্ঞাপনের জন্য নেন প্রায় ৪-৫ কোটি টাকা।
সিনেমা, বিজ্ঞাপনের পাশাপাশি রোজগারের আরো পন্থা রয়েছে শাহরুখের। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মুখ দেখিয়ে আর বিয়েবাড়িতে নেচেও টাকা কামান তিনি। তাঁর রোজগারের একটা বড় অংশ আসে এভাবে। বলিউডের তারকাদের কাছে হেভিওয়েট বিয়েবাড়িতে নাচা কোনো নতুন ব্যাপার নয়।
উঠতি তারকাদের থেকে শুরু করে শাহরুখ, সলমনরাও লাজলজ্জা ভুলে কোমর দোলান টাকার জন্য। মুম্বইয়ের সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, এক একটি বিয়েবাড়িতে নাচার জন্য ৩-৪ কোটি টাকা দাবি করেন কিং খান। কিন্তু একবার সমস্ত সীমা ছাড়িয়ে ৮ কোটি টাকা নিজের পকেটে ভরেছিলেন শাহরুখ। তাও আবার মাত্র ৩০ মিনিট পারফর্ম করার জন্য।
২০১৩ সালে সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছিলেন শাহরুখ। দুবাইয়ের মদিনাত জুমেইরাহ হোটেলে একটি হাই প্রোফাইল বিয়েতে পারফর্ম করার কথা ছিল অভিনেতার। শোনা যায়, মাত্র ৩০ মিনিট পারফর্ম করেছিলেন শাহরুখ। কিন্তু ওটুকু সময়ের জন্যই ৮ কোটি টাকা নিয়েছিলেন তিনি। অবশ্য কথাতেই আছে, বিন্দু বিন্দু জুড়েই সিন্ধু তৈরি হয়। টাকা রোজগার না করলে কিং খানের ইমেজ ধরে রাখবেন কীকরে?
আগামীতে পাঠান, জওয়ান এবং ডাঙ্কি ছবিতে দেখা যাবে শাহরুখকে। সূত্রের খবর, পরিচালক সিদ্ধার্থ আনন্দের পাঠান ছবির জন্য নাকি ১২০ কোটি টাকা পারিশ্রমিক নিয়েছেন অভিনেতা। এবার ছবিগুলো বক্স অফিসে কেমন ব্যবসা করে সেটাই দেখার।