বাংলাহান্ট ডেস্ক: বলিউডের সবথেকে জনপ্রিয় সুপারস্টার হওয়ার পাশাপাশি অনেক বিতর্কও সহ্য করতে হয় শাহরুখ খানকে (shahrukh khan)। একদিকে যেমন অনুরাগীদের ভালবাসা উপচে পড়ে তাঁর জন্য, তেমনি আবার ট্রোল, সমালোচনাও কম সইতে হয় না কিং খানকে। কিন্তু সেসবই বাদশাহী আন্দাজে সামলান শাহরুখ। সুযোগ পেলে খোঁচাও মারেন অন্যদের। যেমন একবার কটাক্ষ শানিয়েছিলেন গায়ক অভিজিৎ ভট্টাচার্যকে (abhijeet bhattacharya)।
এ ঘটনা কয়েক বছর আগেকার। উরি হামলার পর ভারতীয় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে পাকিস্তানি শিল্পীদের বয়কট করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তার আগে বলিউডে বহু ছবিতে পাক শিল্পী অভিনয় করতে দেখা গিয়েছিল। কিন্তু উরির ঘটনার পর নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে দেওয়া হয় প্রতিবেশী রাষ্ট্রের শিল্পীদের উপরে।
বিষয়টা নিয়ে সে সময়ে তোলপাড় হয়েছিল বিভিন্ন মহল। বলিউড কার্যত দু ভাগে বিভক্ত হয়ে গিয়েছিল। একদল সরকারের এই সিদ্ধান্তের পক্ষে ছিলেন আর অন্য দল বিপক্ষে। পরিচালক মহেশ ভাট, করন জোহররা দাবি তুলেছিলেন, শিল্পের সঙ্গে রাজনীতিকে না মেলাতে।
পালটা তোপ দেগেছিলেন গায়ক অভিজিৎ ভট্টাচার্য। তাঁর বক্তব্য যে শাহরুখকে একেবারেই খুশি করতে পারেনি তা বোঝা গিয়েছিলেন অভিনেতার এক সাক্ষাৎকারে। অভিজিতের নাম না করেই তিনি বলেছিলেন যে, গায়ক ভুল করছেন। শাহরুখ বলেন, তিনি পড়েছেন মহেশ ভাট ও করনের উদ্দেশে কেমন অদ্ভূত জিনিসপত্র লিখেছেন অভিজিৎ।
শাহরুখ স্পষ্ট বলেন, তিনি এক সময় তাঁদের সঙ্গে কাজ করতেন। সকলেই তাঁকে ভালবাসে। কিন্তু তিনি যে দাবি করছেন যে ‘সত্যি কথা বলেন’ বা ‘যেটা যেমন সেটা তেমন ভাবেই’ বলছেন। এটা আসলে অভদ্রতার পরিচয় দিচ্ছে। তিনি ভুল বুঝছেন আর সেটা খুব দুঃখজনক।
সম্প্রতি সুরসম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকরের শেষকৃত্যে দোয়া করার সময় শাহরুখের বিরুদ্ধে ‘থুতু’ ছেটানোর অভিযোগ ওঠে। কিন্তু আসলে তিনি দোয়ার পর মঙ্গল কামনায় ফুঁ দিয়েছিলেন। বিষয়টা নিয়ে বিতর্ক এতটাই তুঙ্গে উঠেছিল যে তার জল গড়িয়েছিল রাজনৈতিক মহল পর্যন্ত।