বাংলাহান্ট ডেস্ক: এমনি এমনি কিং খান বলা হয় না তাঁকে। শত সমালোচনা, শত বিতর্কও টলাতে পারেনি ভক্তদের হৃদয়ে শাহরুখ খানের (shahrukh khan) সিংহাসন। গোটা বিশ্ব জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে তাঁর অনুরাগীরা। আর ভক্তের জন্যই যে তিনি আজ শাহরুখ খান হতে পেরেছেন তা নিজেও জানেন অভিনেতা। তাই তো বারবার অনুরাগীদের জন্য বার্তা দেন তিনি। সম্প্রতি এমনি এক হৃদয় ছুঁয়ে কাহিনি ভাইরাল হয়েছে এক এসআরকে ভক্তের।
এই ঘটনা নতুন বছরের শুরুর দিককার। অশোকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অশ্বিনী দেশপাণ্ডে টুইট করে এক মিশরীয় ট্রাভেল এজেন্টের সঙ্গে তাঁদের কথোপকথন তুলে ধরেছিলেন। ওই ট্রাভেল এজেন্টকে অনলাইনে কিছু অর্থ পাঠাতে গিয়ে সমস্যার মুখে পড়েন অধ্যাপক দম্পতি। কিন্তু কোনো রকম রাগারাগি না করে মিশরীয় ট্রাভেল এজেন্ট যা বলেছিলেন তাতে অবাক হয়ে গিয়েছিলেন তাঁরা।
তিনি বলেছিলেন, “আপনারা শাহরুখ খানের দেশের লোক। আপনাদের উপরে বিশ্বাস আছে। আমি বুকিং করে দেব, পরে টাকা দেবেন আপনারা। অন্য কোনো দেশ হলে আমি করতাম না। কিন্তু শাহরুখের জন্য সবকিছু করতে পারি।” টুইটটি ভাইরাল হতে সময় নেয়নি বেশি। মিশরীয় ভদ্রলোকের সঙ্গে দেখা হওয়ার সেকথা জানিয়েছিলেন প্রফেসর দম্পতি।
সেই সঙ্গে তাঁরা শাহরুখের প্রযোজনা সংস্থার কাছে আবেদন করেছিলেন, যদি সম্ভব হয় তবে কিং খানের একটি ছবি সই সমেত যদি পাঠানো হয় মিশরীয় ভদ্রলোকের মেয়ের জন্য, তবে তিনি খুবই খুশি হবেন। ভক্তর এই ভাল কাজের খবর পৌঁছেছিল শাহরুখের কাছেও। উত্তরে তিনি একটি নয়, তিন তিনটি ছবি সই সমেত পাঠিয়েছেন। একটি মিশরীয় ট্রাভেল এজেন্ট ভদ্রলোকের জন্য, দ্বিতীয়টি তাঁর মেয়ের জন্য এবং তৃতীয়টি ভারতীয় অধ্যাপকের জন্য। মিশরীয় ভদ্রলোককে ধন্যবাদ জানিয়ে বিশেষ বার্তাও দিয়েছেন শাহরুখ।
A very happy ending to this story. 3 photos signed by SRK arrived today, one with the nicest message for the Egyptian travel agent, one for his daughter & one for mine @Ketaki_Varma 🥰🥰 Thanks @pooja_dadlani for getting in touch & of course to 👑 @iamsrk for the gracious gesture https://t.co/lYd431dBUq pic.twitter.com/Rhn1ocQlbo
— Ashwini_Deshpande (@_ADeshpande) January 22, 2022
শাহরুখের সই সহ ছবি এবং নিজের হাতে লেখা বার্তার ছবি টুইট করেছেন ভারতীয় অধ্যাপক। সোশ্যাল মিডিয়ায় টুইটটি ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। ভক্তের আবেদন শুনেছেন শাহরুখ, এ জন্য তাঁকে প্রশংসায় ভরিয়েছেন নেটিজেনরা। সেই সঙ্গে আবারো প্রমাণ হয়ে গিয়েছে, দুঃসময় আসলেও কিং খানের ক্যারিশ্মা তাতে এতটুকু কমেনি।