বাংলাহান্ট ডেস্ক: বলিউড ইন্ডাস্ট্রির কিং খান তিনি। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে তাঁর জনপ্রিয়তা। এক ডাকে সকলে চেনে তাঁকে, তিনি শাহরুখ খান (shahrukh khan)। স্বভাবে, চলনে বাদশার মতোই মেজাজ তাঁর। কিন্তু জানেন কি একটা সময় এই বাদশাকেই জেলের গরাদের পেছনে কাটাতে হয়েছিল এক রাত? তাও আবার এক সাংবাদিককে কুকরি দিয়ে কোপ মারার অভিযোগে!
এই ঘটনা ১৯৯৩ এর। তার দু বছর আগেই বিয়ে হয়েছে গৌরি শাহরুখের। কিন্তু নতুন বিয়ের আমেজের মধ্যেই সংসার ভাঙতে বসার উপক্রম হয়েছিল তাঁদের। কারণ ইন্ডাস্ট্রির একটি গুজব। একটি সংবাদপত্রে লেখা হয়েছিল ‘কভি হাঁ কভি না’ ছবির সহ অভিনেত্রীর সঙ্গে নাকি বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছেন শাহরুখ।
এই খবর দেখে অভিনেতা স্বামীর উপর রেগে বিয়ে ভাঙার তোড়জোড় শুরু করেছিলেন গৌরি। এমন গুজব ছড়ানোর জন্য সাংবাদিকের উপর দারুন রেগে গিয়েছিলেন শাহরুখ। সোজা সাংবাদিককে ফোন লাগান তিনি। উত্তরে সাংবাদিক জানান, নেহাত মজা করেই খবরটি লিখেছিলেন তিনি।
কিন্তু শাহরুখের তখন সংসারে আগুন লাগার জোগাড়। এই উত্তরে আরো ক্ষেপে গিয়ে গালিগালাজ করতে শুরু করেন অভিনেতা। এমনকি একটি কুকরি হাতে ওই সাংবাদিকের বাড়িও পৌঁছে গিয়েছিলেন তিনি। বিয়েতে গৌরির বাবা পঞ্জাবি রীতি মেনে কুকরিটি দিয়েছিলেন জামাইকে যাতে মেয়ের রক্ষা করতে পারে। কিন্তু সেই কুকরি নিয়ে সাংবাদিককে মারতে ছোটেন শাহরুখ।
সাংবাদিকের বাড়ির দরজাতেই তাঁর পায়ে কুকরি দিয়ে এক কোপ মারেন অভিনেতা। তারপর আর কী! সেদিনই জেলে আটক হন শাহরুখ। সে রাতটা জেলেই কাটাতে হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু এতেও থামেননি তিনি। জেল থেকেই সাংবাদিককে ফোন করে খুনের হুমকি দিয়েছিলেন শাহরুখ। নানা পাটেকর তাঁর জামিনের ব্যবস্থা করেছিলেন। এই ঘটনার কথা এক সাক্ষাৎকারে নিজেই স্বীকার করেছিলেন তিনি। পরে অবশ্য নিজের ভুল বুঝতে পেরে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছিলেন শাহরুখ।