বাংলাহান্ট ডেস্ক : উদ্বেগ ক্রমেই বাড়ছে ধর্মেন্দ্রকে (Dharmendra) নিয়ে। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন তিনি। সোমবার দুপুর থেকেই তাঁর অবস্থার অবনতি হয় বলে খবর। শোনা গিয়েছিল, তীব্র শ্বাসকষ্টের দরুন ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে তাঁকে। হাসপাতালে দেখা গিয়েছে অভিনেত্রী হেমা মালিনী, সানি দেওলকে। রাত বাড়তেই এবার একে একে বর্ষীয়ান অভিনেতাকে দেখতে হাসপাতালে উপস্থিত হচ্ছেন শাহরুখ-সলমন খানদের মতো তারকারা।
ধর্মেন্দ্রকে (Dharmendra) দেখতে হাসপাতালে বলিউড তারকারা
হাসপাতালে ধর্মেন্দ্রর সঙ্গেই রয়েছেন স্ত্রী হেমা। এসেছেন দুই ছেলে সানি এবং ববি দেওল। এদিন রাত সাড়ে আটটা নাগাদ ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে পৌঁছান সলমন খান। তারপর রাত প্রায় পৌনে এগারোটা নাগাদ বর্ষীয়ান অভিনেতাকে (Dharmendra) দেখতে হাসপাতালে যান শাহরুখও। রাত একটু বাড়তেই হাসপাতালে দেখা মেলে গোবিন্দার।

কেমন আছেন ধর্মেন্দ্র: এদিন হেমা মালিনী সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি বিবৃতি দিয়ে বলেন, টানা পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে ধর্মেন্দ্রকে (Dharmendra)। তাঁরা সকলে তাঁর সঙ্গেই রয়েছেন। তিনি যাতে দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন তার জন্য সকলকে প্রার্থনা করারও অনুরোধ জানান হেমা। অন্যদিকে সানির টিমের তরফে বলা হয়, ধর্মেন্দ্রর (Dharmendra) অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল। তবে চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন তিনি। আরও আপডেট পাওয়া গেলে তাও শেয়ার করা হবে। তবে পরিবারের গোপনীয়তা রক্ষার অধিকারকে সম্মান জানানোর জন্যও অনুরোধ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন : তীব্র শ্বাসকষ্ট, ভেন্টিলেটরে ধর্মেন্দ্র! ছড়াল মৃত্যু সংবাদ
গঠন হয়েছে মেডিকেল বোর্ড: এখন ঠিক কেমন আছেন ধর্মেন্দ্র, সে বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটে রয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সূত্রের খবর, বর্ষীয়ান অভিনেতার (Dharmendra) জন্য বিশেষ মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। তাঁর অবস্থা বিশেষ আশঙ্কাজনক নয় বলেও শোনা যাচ্ছে। চিকিৎসায় নাকি সাড়া দিচ্ছেন অভিনেতা। তবে তাঁর বয়সের কথা মাথায় রেখেই অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করছেন চিকিৎসকরা।
আরও পড়ুন : গান থেকে সটান রাজনীতিতে! ভোটে দাঁড়াচ্ছেন ইমন? ২৬-এর আগে জল্পনা বাড়ালেন ‘প্রাক্তন’ শিল্পী
আগামী ডিসেম্বরে ৯০ হবে ধর্মেন্দ্রর। বলিউডকে পুরোপুরি বিদায় না জানালেও ছবির পরিমাণ একেবারেই কমিয়ে দিয়েছেন তিনি। সম্প্রতি পুত্র ববি দেওল জানিয়েছিলেন, খান্ডালার ফার্ম হাউসে ‘মমি’র (প্রকাশ কউর) সঙ্গে থাকেন তিনি। দুজনেরই বয়স হয়েছে, তাই শান্তিতে সেখানে সময় কাটাতে ভালোবাসেন তাঁরা।












