বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: ব্যাটিং বিপর্যয়, বোলারদের সীমাবদ্ধতা, মিস ফিল্ডিং সব মিলিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সিরিজের প্রথম ম্যাচে হারের মুখ দেখতে হলো রোহিত শর্মার ভারতকে। ম্যাচের শেষ দিকে একটা সময় উপস্থিত হয়েছিল যখন বাংলাদেশের জিততে গেলে প্রয়োজন ছিল ৫১ রানের। তাদের কাছে সময় অনেকটা থাকলেও হাতে মাত্র একটা উইকেট ছিল। ঠিক এমন অবস্থা থেকে মেহেদী হাসান মিরাজ এবং মুস্তাফিজুর রহমানের জুটি ছয় ওভার অত্যন্ত আগ্রাসী এবং প্রশংসাজনক ব্যাটিং করে ম্যাচ জিতিয়ে দেয় বাংলাদেশকে।
এর আগে বাংলাদেশের কাছে ভারতের শেষ ওডিআই পরাজয়টি এসেছিল সাত বছর আগে ২০১৫ সালে বাংলাদেশের মাটিতেই। ধোনির অধিনায়কত্বে মাশরাফি মোর্তাজার বাংলাদেশ তিন ম্যাচের ওডিআই সিরিজে ভারতকে ২-১ ফলে হারিয়েছিল। তারপরে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ থেকে শুরু করে সব জায়গাতেই ছিল ভারতের জয় জয়কার।
আজ শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয় ভারত। অফস্পিনার মেহেদী হাসানকে দিয়ে বল করিয়ে প্রথমেই ধাওয়ানকে ফিরিয়েছিলেন অধিনায়ক সাকিব। তারপর নিজে এক ওভারে দুই বলের ব্যবধানে বিরাট এবং রোহিতকে ফেরত পাঠিয়ে ভারতকে চাপে ফেলে দেন তিনি যেখান থেকে ভারত আর মুক্তি পায়নি। লোকেশ রাহুল ছাড়া প্রতিটি ক্রিকেটারই ব্যর্থ হন ব্যাট হাতে। ৫ উইকেট নিয়ে ভারতকে ভাঙেন সাকিব। ৪ উইকেট নিয়ে তাকে যোগ্য সঙ্গত দেন ইবাদত হোসেন।
ভারতের ইনিংসকে টানেন লোকেশ রাহুল। প্রথমে শ্রেয়স আইয়ার (২৪) এবং তারপর ওয়াশিংটন সুন্দরের (১৯) সঙ্গে কিছুটা পার্টনারশিপ গড়েন তিনি। এরপর একক দক্ষতাতেই চেষ্টা করেন। কিন্তু শেষপর্যন্ত ৭০ বলে ৫টি চার ও ৪টি ছক্কা সহযোগে ৭৩ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলে ১৮৬ রান অবধি ভারতকে অবধি পৌঁছে দেন তিনি। তাকে আউট করেন ইবাদত হোসেন।
এরপর শুরুতেই নাজমুল হোসেন শান্তকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে ধাক্কা দিয়েছিলেন দীপক চাহার। তারপর দশ ওভারের মধ্যেই বিজয়কে ফিরিয়ে দিয়ে আরও চাপ বাড়িয়েছিলেন সিরাজ। কিন্তু রান খুব একটা বড় ছিল না। লিটন দাস (৪১) ও সাকিব আল হাসানের (২৯) ৪৮ রানের জুটি বাংলাদেশকে ম্যাচে অনেকটাই এগিয়ে নিয়ে যায়। সাকিব ও লিটন আউট হওয়ার পর থেকে নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারাচ্ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু শেষ উইকেটটা কিছুতেই তুলতে পারেনি ভারত।