২০১১ সালে সাত দফায় ভোট চেয়েছিলেন মমতা, এখন চটছেন কেন! প্রশ্ন শমীকের

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গতকাল বাংলা সহ পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনী দিনক্ষণ ঘোষণা করেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। অসমে তিন দফায় নির্বাচন। আর পশ্চিমবঙ্গে আট দফায় নির্বাচন হওয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি অভিযোগ করে বলেছেন মোদী-শাহকে বাংলায় নির্বাচনী প্রচারের সুবিধা পাইয়ে দিতেই এরকম দিনক্ষণ রাখা হয়েছে। এছাড়াও আট দফার নির্বাচন নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ দলের একাধিক নেতারা।

এবার তৃণমূল সুপ্রিমোকে এই ইস্যুতে একহাতে নিলেন বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, ‘২০১১ সালে স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাত দফার নির্বাচনের দাবি করেছিলেন। তাহলে এখন বিরোধিতা করছেন কি করে?” শমীকবাবু বলেন, ‘বিহারের মতো রাজ্যে ৩ দফায় ভোট হচ্ছে। আর বাংলায় ৮ দফায়। এতে গোটা দেশের সামনে বাঙালীদের মাথা হেঁট হচ্ছে। ১০ বছর রাজ্যে ক্ষমতায় থেকে মুখ্যমন্ত্রী একফোঁটাও রাজ্যের উন্নতি করতে পারেন নি।”

শমীকবাবু বলেন, ‘রাজ্যে উন্নতি করার বদলে দমবন্ধকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। লোকসভা নির্বাচনে যেখানে যেখানে অবাধে ভোট হয়েছিল, সেখানে সেখানে বিজেপি জিতেছে। এবারেও জিতবে।” শমীকবাবু বলেন, ‘২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার জন্য তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গোটা রাজ্য ঘুরে ৭ থেকে ৮ দফায় ভোট চেয়েছিলেন। তখন তিনি দাবি করেছিলেন যে, ৭-৮ দফায় ভোট না হলে সিপিএমের সন্ত্রাসমুক্ত নির্বাচন করার সম্ভব নয়। আর আজ তিনিই সন্ত্রাসমুক্ত নির্বাচন করার জন্য ৮ দফা ভোটের ঘোষণা হলে, সেটার বিরোধিতা করছেন।”

বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘ ২০১১ সালের পর থেকে রাজ্যের কোনও নির্বাচনই অবাধ ও শান্তিপূর্ণ হয়নি। মুখ্যমন্ত্রী জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে বাংলার নির্বাচন কমিশন ভেবেছেন। তিনি ভেবেছিলেন যে, ওনার ইচ্ছেমত সব হবে।”


Koushik Dutta

সম্পর্কিত খবর