Ekchokho.com 🇮🇳

মঞ্চ জুড়ে কালীঘাটের কালীর ছবি! ‘বিবেকানন্দ বলেছেন…’, ব্যাটন হাতে নিয়ে TMC-কে খোঁচা শমীকের

Published on:

Published on:

বাংলাহান্ট ডেস্ক : বঙ্গ বিজেপির ব্যাটন হাতে নিয়েই দলকে আরও মজবুত করতে কোমর বেঁধেছেন নতুন সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য (Shamik Bhattacharya)। সদ্য বিজেপির রাজ্য সভাপতি পদে অভিষিক্ত হয়েছেন তিনি। তাঁর সভাপতিত্ব গ্রহণের সভা মঞ্চ থেকেই শুরু হয়েছে চর্চা-বিতর্ক। মঞ্চ জুড়ে কালীঘাটের মা কালীর ছবি থাকা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে কানাঘুষো। এবার এ বিষয়ে জবাব দিলেন শমীক ভট্টাচার্য (Shamik Bhattacharya)।

সভাপতি হয়েই তৃণমূলকে তোপ দাগলেন শমীক (Shamik Bhattacharya)

শমীক ভট্টাচার্যের (Shamik Bhattacharya) সভাপতিত্ব গ্রহণের মঞ্চ নিমেষে উঠে এসেছিল চর্চায়। কারণ মঞ্চ জুড়ে কালীঘাটের মা কালীর ছবি। কিন্তু কারণ কী? টিভি নাইন বাংলার সঙ্গে সাক্ষাৎকারে শাসক দলকে তীব্র কটাক্ষ শানিয়ে নব্য বিজেপি সভাপতি বলেন, ‘কালীঘাটের কালী বলে দিয়েছেন, তুমি আমার প্রতিবেশী হতে পারো, কিন্তু তুমি যা করেছো তাতে আমি তোমার ফাইল নিতে পারব না’।

Shamik Bhattacharya took a dig at tmc

কালীঘাটের কালী প্রসঙ্গে মন্তব্য সভাপতির: দায়িত্ব নিয়েই পরপর তোপ দেগেছেন শমীক ভট্টাচার্য (Shamik Bhattacharya)। কালীঘাটের মা কালীর ছবির প্রসঙ্গে তাঁর জবাব, ‘কালীঘাট তো শক্তিপীঠ। বাঙালির সঙ্গে কালীর নিবিড় যোগ। কালী বাদ দিয়ে বাঙালির পরিচয় নেই’। এ প্রসঙ্গে টেনে এনেছেন স্বামী বিবেকানন্দকেও। তাঁর কথায়, ‘বিবেকানন্দ বলেছেন, এখানে কালী পাঁঠা খাবে। সেখানে কালীর ছবি নিয়ে আপত্তি কেন?’

আরো পড়ুন : ‘বস না তোকে একটু…’, কী চলত ‘কুখ্যাত’ ইউনিয়ন রুমে? ফাঁস চাঞ্চল্যকর তথ্য!

কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা: রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের অনেকে মনে করছেন, বাংলার মানুষের সঙ্গে বিজেপির যোগসূত্র মজবুত করতেই এটা শমীক ভট্টাচার্যের (Shamik Bhattacharya) পন্থা হতে পারে। এতদিনের দূরত্ব, বিজেপির বাঙালিয়ানার ফাঁক ভরাট করতে নিজের মতো করে চেষ্টা করছেন তিনি, এমনটাই মত অনেকের।

আরো পড়ুন : সরিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে, কার্তিকের পরিণতিও সুশান্তের মতো হবে! বিষ্ফোরক দাবি বলিউডে

এতদিন বারেবারে ‘বহিরাগত’ অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। উঠেছে অবাঙালি আগ্রাসনের অভিযোগও। এর জেরে হিন্দু বাঙালির একটা বড় অংশ এতদিন দূরত্ব বজায় রেখেছিল বিজেপির থেকে। শমীকের হাত ধরে সেই দূরত্ব এবার ঘুচে যাবে বলে আশা করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ।