বাংলাহান্ট ডেস্ক: বাংলা সাহিত্যে আজ এক অন্ধকারময় দিন। প্রয়াত অ্যাকাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রবাদপ্রতিম কবি শঙ্খ ঘোষ (shankha ghosh)। বাংলা সাহিত্যে ইন্দ্রপতন হল আজ। কিছুদিন আগেই করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন কবি। মারণ ভাইরাসই কেড়ে নিল প্রাণ। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর।
বার্ধক্যজনিত সমস্যায় আগে থেকেই ভুগছিলেন কবি শঙ্খ ঘোষ। এর দরুন অনেকটাই দুর্বল হয়ে গিয়েছিলেন। এমনকি বছরের শুরুর দিকে হাসপাতালেও ভর্তি করতে হয়েছিল তাঁকে। তার উপর দোসর হয় হয় করোনা। উপসর্গ হিসাবে জ্বর এসেছিল তাঁর। করোনা পরীক্ষা করান শঙ্খ ঘোষ। রিপোর্ট আসে করোনা পজিটিভ।
হাসপাতালে আর যেতে চাননি কবি। তাই বাড়িতেই তাঁকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছিল। চলছিল চিকিৎসা। মঙ্গলবার রাতে আচমকাই কবির শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হতে শুরু করে। বুধবার সকাল হতেই তড়িঘড়ি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। রাখা হয় ভেন্টিলেশনে। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ খুলে দেওয়া হয় ভেন্টিলেশন।
বাংলা সাহিত্যের নক্ষত্র পতনে শোকস্তব্ধ গোটা সাহিত্য জগৎ। শোকস্তব্ধ কবির গুণমুগ্ধ অসংখ্য ভক্ত। শোকপ্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘শঙ্খদার মৃত্যুতে শোকজ্ঞাপন করছি। তাঁর পরিবার ও শুভানুধ্যায়ীদের সমবেদনা জানাই। করোনায় মারা গিয়েছেন শঙ্খদা। তা সত্ত্বেও যাতে রাষ্ট্রীয় সম্মানের সঙ্গে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন করা যায় মুখ্যসচিবকে তেমনি নির্দেশ দিয়েছি। শঙ্খদা গান স্যালুট পছন্দ করতেন না। ওটা বাদ রাখছি।’
বাংলা সাহিত্যে কবি শঙ্খ ঘোষের অবদান সম্পর্কে নতুন করে কিছুই বলার নেই। বাবরের প্রার্থনা, দিনগুলি রাতগুলি, মুখ ঢেকে যায় বিজ্ঞাপনে তাঁর অন্যতম উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ। বাবরের প্রার্থনার জন্য অ্যাকাডেমি পুরস্কারে ভূষিত হন কবি শঙ্খ ঘোষ। রক্তকল্যাণ নাটকটি কন্নড় ভাষা থেকে বাংলায় অনুবাদ করেও অ্যাকাডেমি পুরস্কার পান তিনি। ২০১১ সালে পদ্মভূষণে কবিকে সম্মানিত করা হয়। বাংলা সাহিত্যের জগতে তাঁর চলে যাওয়ার ক্ষতি অপূরণীয়।