দীর্ঘ রাজনৈতিক ইতিহাস, শান্তনু-সুব্রতর দ্বন্দ্ব থেকেই এবার রাজনীতির নতুন অধ্যায় শুরু ঠাকুর পরিবারে?

Published on:

Published on:

Shantanu Thakur

বাংলাহান্ট ডেস্ক : রাজ্য রাজনীতিতে পরিবারতন্ত্র নতুন নয়। খাস বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের বিরুদ্ধে এ নিয়ে বারংবার কটাক্ষ শানিয়েছেন বিরোধীরা। এবার এই পরিবারতন্ত্রের রাজনৈতিক টানাপোড়েনে নতুন সংযোজন হল ঠাকুর পরিবার। সিএএ সংক্রান্ত ক্যাম্প নিয়ে সম্মুখ সমরে দুই ভাই শান্তনু ঠাকুর (Shantanu Thakur) এবং সুব্রত ঠাকুর (Subrata Thakur)। দীর্ঘদিন ধরেই ঠাকুরবাড়িতে যে অধিকারের লড়াই চলছে তা কারও অজানা নয়। এবার শান্তনু দাবি করেছেন, দল বদলাতে পারেন ভাই সুব্রত। বিজেপি থেকে তৃণমূলে পা রাখার বন্দোবস্ত তিনি করছেন বলে উঠেছে অভিযোগ।

ঠাকুর পরিবারে দ্বন্দ্বে শান্তনু (Shantanu Thakur) বনাম সুব্রত

যেমনটা জানা যাচ্ছে, সিএএ কার্যকরের পর ঠাকুরবাড়িতে মতুয়াদের জন্য করা হয়েছিল সহযোগিতা শিবির। ঠাকুরবাড়ির নাটমন্দিরে সহযোগিতা শিবিরটি খোলা নিয়ে প্রকাশ্যে দ্বন্দ্বে জড়ান দুই ভাই। শান্তনু ঠাকুর (Shantanu Thakur) বর্তমানে বনগাঁর বিজেপি সাংসদ তথা মতুয়া মহাসঙ্ঘের সঙ্ঘাধিপতি। অন্যদিকে সূব্রত ঠাকুর গাইঘাটার বিজেপি বিধায়ক। যদিও শুধু বিজেপি নয়, তৃণমূলেও রয়েছে ঠাকুর পরিবার। এদিকে দ্বন্দ্বের এই পর্যায়ে দলের প্রতি সুব্রত ঠাকুরের ভূমিকা নিয়ে উঠতে করেছে প্রশ্ন।

Shantanu thakur vs subrata thakur collision in state politics

পরিবারের দীর্ঘ রাজনৈতিক ইতিহাস: এমনিতে ঠাকুর পরিবারের রাজনৈতিক ইতিহাস বহু পুরনো। শান্তনু (Shantanu Thakur) এবং সুব্রত ঠাকুরের বাবা মজুলকৃষ্ণ ঠাকুর ছিলেন তৃণমূলের প্রাক্তন মন্ত্রী, যিনি বর্তমানে মতুয়া মহাসঙ্ঘের প্রধান সেবায়েত। এই দ্বন্দ্বে তিনি রয়েছেন শান্তনু ঠাকুরের (Shantanu Thakur) পাশে। অন্যদিকে, এ বিষয়ে জেঠিমা মমতাবালা ঠাকুরকে পাশে পেয়েছেন সুব্রত। পাশে রয়েছেন মা ছবি রানি ঠাকুরও। এরপরেই কটাক্ষ শানিয়েছেন শান্তনু। তাঁর অভিযোগ, জন্মদাত্রী মাকে ঢাল বানিয়ে এসব করছেন শান্তনু (Shantanu Thakur)। রাজ্যে মন্ত্রী হতে গেলে তৃণমূল করতে হবে। আনুষ্ঠানিকভাবে শুধু দলেই যোগ দেননি। নয়তো দলীয় পতাকা সুব্রত ধরে ফেলেছেন বলে কটাক্ষ করেছেন তিনি।

আরও পড়ুন : ‘গৃহবন্দি’ ছিলেন জগদীপ ধনকড়? তড়িঘড়ি কেন পদত্যাগ? মুখ খুলেই শাহ বললেন…

কী জানালেন সুব্রত: মমতাবালা ঠাকুরের সমর্থনের বিষয়ে সুব্রতর দাবি, মমতাবালা ঠাকুর তাঁর জেঠিমা। মতুয়াদের কীভাবে ভালো হবে তার জন্য তিনি মা, জেঠিমা, বোনের সঙ্গে কথা বলেছেন বলেও জানান। এই বিবাদের হাত ধরে রাজ্য রাজনীতিতে ঠাকুর পরিবারের এক নয়া অধ্যায় শুরু হতে চলেছে বলে মত বিজেপিরই এক সাংসদের।

আরও পড়ুন : ইলিশ বলে অন্য মাছ গছিয়ে দিচ্ছে না তো? ‘খাঁটি’ কিনা বুঝুন এই কয়েকটি সহজ ট্রিকসে

একাংশ প্রশ্ন তুলছেন, শান্তনু ঠাকুরের (Shantanu Thakur) দাবি মতোই মন্ত্রীত্ব পেতে দলবদল করে পরিবারে কি নিজের স্থান স্পষ্ট করতে চাইছেন সুব্রত ঠাকুর? আবার কারোর কারোর মতে, আলোচনা করেই বিভিন্ন দলে নিজেদের স্থান দৃঢ় করে রাজনীতিতে ঠাকুর পরিবারকে প্রাসঙ্গিক করে রাখতে চাইছেন দুই ভাই। (উপরিউক্ত ঘটনার বর্ণনা এক বিজেপি সাংসদের)