একবেলা পান্তাভাত এবং নুন খেয়ে জীবনযাপন করতেন, কখনও ভাবেন নি ক্রিকেটার হবেন, আসলে ক্রিকেট খেলার জন্য যে সামগ্রীর প্রয়োজন সেটা কেনার জন্য তো অনেক টাকা লাগে কোথায় পাবেন সেই টাকা? কিন্তু পরিশ্রম করলে এবং ভাগ্য সাথে থাকলে যে কোনো কিছুই অসম্ভব নয় সেটাই প্রমান করে দিলেন বাংলাদেশের অনুর্দ্ধ 19 দলের ক্রিকেটার শরিফুল ইসলাম। অনুর্দ্ধ 19 বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের বোলিংয়ে এখন তিনিই প্রধান ভরসা। এই দীর্ঘদেহী বাংলাদেশি পেসার একটানা বল করে যেতে পারেন সমান দক্ষতার সাথে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মে বাংলাদেশ দলের তারকা হয়ে ওঠার সমস্ত গুন রয়েছে তার মধ্যে।
এই শরিফুল স্থানীয় এক টুর্নামেন্টে টেনিস বলে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছিলেন। সেদিন তার বোলিং দেখে বাংলাদেশের রাজশাহীর সনামধন্য কোচ আলমগীর কবির মুগ্ধ হয়ে যান। তারপর শরিফুল কে নিয়ে গিয়ে সকাল বিকাল আলাদা আলাদা ভাবে ট্রেনিং করতে শুরু করেন তিনি। তার সেই দিন থেকে করা পরিশ্রম সফল হয়েছে। প্রথমে শরিফুল খেলা শুরু করেন রাজশাহীর বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্টে তারপর সেখান থেকে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে 8 ম্যাচে 17 উইকেট নিয়ে সাড়া ফেলে দেন তিনি। তারপর আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। এখন তিনি বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটার।
শরিফুল জানিয়েছেন ক্রিকেট খেলার এত খরচ তাই আমার বাবা মা কখনই চাইতেন না যে আমি ক্রিকেট খেলি কিন্তু আমার ভাই সবসময় আমার পাশে দাঁড়িয়েছেন। ভাই বলেছিল দরকার পড়তে রক্ত বিক্রি করে তোকে খেলাবো। তখন থেকেই আমার মধ্যে জেদ চেপে যায় বড় ক্রিকেটার হওয়ার। এখন টিভিতে আমার খেলা দেখে মা বাবা বিশ্বাস করতে শুরু করেছেন যে আমি বড় কিছু করতে পারবো।