বাংলাহান্ট ডেস্ক : ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) দুমকায় স্কুল ছাত্রী অঙ্কিতার মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডে ঘটনায় শিউরে উঠেছে গোটা দেশ। বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন এলাকার মানুষ। অনেকেই এই ঘটনাকে ‘লাভ জিহাদ’-এর (Love Jihad) আঙ্গিকও দিয়েছেন। এরই মধ্যে তদন্তে উঠে আসছে একাধিক তথ্য। পুলিশ জানতে পেরেছে কিভাবে হত্যাকারী শাহারুখ অঙ্কিতার মোবাইল নম্বর জোগাড় করেছিল। এছাড়াও এতটা নৃশংস ভাবে অঙ্কিতাকে হত্যা (Ankita Murder Case) করার কারণও পুলিশ খুঁজে পেয়েছে বলেই জানা যাচ্ছে। সদ্য কন্যা হারা অঙ্কিতার বাবা জানান, অভিযুক্ত শাহারুখ তাঁদের প্রতিবেশি। অঙ্কিতাকে সে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে বিয়ে করার জন্য চাপ দিত।
জানা যাচ্ছে, শাহারুখ অঙ্কিতাকে হুমকি দিত, ‘ইসমাল গ্রহণ করো, আমাাকে বিয়ে করো। তা নাহলে তোমার জীবন আমি নরক বানিয়ে দেবো।’ বারংবার এই হুমকিতে ভয় পেয়েছিল অঙ্কিতা। ভয়ে জড়োসড়ো হয়ে যায় ওই কিশোরী। অঙ্কিতার বাবা সঞ্জয় সিংহ জানান, ‘আমাদের এলাকাতেই থাকা শাহারুখ বেশ কিছুদিন ধরেই অঙ্কিতাকে বিরক্ত করতো। আমার মেয়েকে বিয়ে করার জন্য চাপ দিত ওই যুবক। অঙ্কিতা কোনও ভাবেই রাজি হয় নি। আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথায় জানায় মেয়ে। তারপরই মেয়েকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিত শাহারুখ। অবশেষে আমার মেয়েকে নৃশংস ভাবে হত্যা করল সে।’
এবার প্রশ্ন ওঠে অঙ্কিতা শাহরুখকে পাত্তা না দিলে তার মোবাইল নম্বর কোথা থেকে পেল সে? আগেই শাহারুখের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে যে অভিযোগ দায়ের করে অঙ্কিতা। সেখানে সে বলে, ‘আমার কোনও এক বান্ধবীর কাছ থেকে আমার নম্বর জোগাড় করে শাহারুখ। বারবার ফোন করে আমাকে বিরক্ত করে। এর আগে রাস্তায় আমাকে দেখতে পেলেই বিরক্ত করতো। কথা বলার জন্য চাপ দিত।’ এরপর ২২ আগস্ট রাতে শাহারুখ অঙ্কিতার মোবাইলে ফোন করে বলে তার সঙ্গে কথা না বললে সে অঙ্কিতাকে প্রাণে মেরে ফেলবে। অঙ্কিতার প্রতিবারের মতো এবারও ফোন রেখে দেয়।
এরপরই ঘটে যায় মর্মান্তিক ঘটনা। পরদিন সকালে যখন বাড়ির সবাই ঘুমাচ্ছিল তখন শাহারুখ অঙ্কিতার ঘরে ঢুকে তার গায়ে পেট্রোল ঢেকে আগুন লাগিয়ে দেয়। এই ঘটনার পর পুলিশ শাহারুখ এবং তার এক বন্ধুকে গ্রেফতার করেছে বলে জানা যাচ্ছে।
Made in India