‘অনুব্রত চাইলেই বেঁচে যেত সবাই, কিন্তু সেটাই তিনি চাননি’, বিস্ফোরক বগটুইয়ের শেখলাল

বাংলাহান্ট ডেস্ক : স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে গতকালই। তারপর থেকেই বগটুই কাণ্ড প্রসঙ্গে বিস্ফোরক হতে দেখা গেছে মৃত নাজেমা বিবির স্বামী শেখলাল শেখকে। এদিন আবারও অনুব্রত মণ্ডলকে একহাত নিলেন তিনি। তাঁর স্পষ্ট দাবি, অনুব্রত চাইলেই রোখা যেত এই সব কিছুই। কিন্তু তিনি চাননি। তাই অকালে চলে গেল এতগুলো প্রাণ।

সোমবারই স্ত্রীর মৃত্যুর পর অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ আনেন তিনি। শেখলাল দাবি করেন, ভাদু শেখের লুঠের এবং তোলাবাজির টাকার বখরা পেতেন অনুব্রতও। এদিন আবার সেই রাতের ঘটনার জন্য সেই অনুব্রতকেই দুষলেন তিনি। এমনকি একটি ছবি দেখিয়ে তিনি এই দাবিও করেন যে পুলিশের উপস্থিতিতেই আগুন লাগানো হয়েছিও গ্রামে।

এদিন সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানান, ‘অনুব্রত কাজ করতে দেয়নি। যেগুলি জ্বলেছে, অনুব্রত যদি চাইতেন একটা বাড়িতেও আগুন লাগত না। উনি তো সঙ্গে সঙ্গে খবর পেয়েছেন। হয়ত আমাদের কেউ মরতও না। হয়ত কোনও বাড়িতে আগুনও লাগত না। এর সমস্ত মূলে রয়েছে আনারুল, অনুব্রত, এসডিপিও এবং আইসি।’ তিনি আরও বলেন, ‘অনুব্রত ভাগ খায়। যখন রামপুরহাটে কোনও নতুন অফিসার আসে, ভাদু তাঁকে প্রথমে একটা গাড়ি গিফট করে। ভাদুর লোক ছাড়া যারা তৃণমূলের লোক আছেন, এরাও ভাদুর ভাগ খেত, এরাও ভাদুর সঙ্গে জড়িত।’

উল্লেখ্য, পুলিশের বিরুদ্ধেও এদিন বড়সড় অভিযোগ এনেছেন শেখলাল। তাঁর দাবি,’পুলিশ ওই ঘটনার সময় গ্রামে উপস্থিত ছিল। পুলিশ থেকেই কাজ হয়েছে। সারা রাত ধরে বাড়িগুলিতে আগুন দেওয়া হচ্ছে, আগুন জ্বলছে, যারা দুষ্কৃতী তারা সারা রাত ঘোরাফেরা করছে, একাধিকবার বোমা পড়ছে। ওরা আওয়াজ পাচ্ছে। কিন্তু আসছে না। দমকল বাহিনীকেও পানি দিতে দিচ্ছে না।’

উল্লেখ্য, কালও একই বিষয় নিয়ে সরব হয়েছিলেন মৃতার স্বামী। তবে গতকাল অবশ্য তিনি সাফ জানিয়েছিলেন যে গ্রামে ঢুকতেই দেওয়া হয়নি পুলিশকে। তিনি বলেন, ‘সোমবার রাত নটা থেকে সাড়ে নটার মধ্যে আগুন লাগানো হয়েছে। দমকল পর দিন সকালে এসে জল দিয়েছে। রাতে যদি উদ্ধার চালাত তা হলে এটা হয়তো হত না। রামপুরহাট থানা থেকে আমাদের বাড়ি যেতে ১০-১৫ মিনিট লাগে। এসডিপিও-র বাড়ি আমার পাড়ায়। আমার বাড়ি থেকে পাঁচ মিনিট। সে দিন পুলিশ পার্টির চাপে আমাদের কোনও রকম নিরাপত্তা দিতে পারেনি। কিন্তু পুলিশ চায়নি যে সমস্ত বাড়ি জ্বলে পুড়ে খাক হয়ে যাক। সবাই ধ্বংস হয়ে যাক, এটা পুলিশ চায়নি। কিন্তু পুলিশকে আনারুল যেতে দেয়নি। আর ওই অবস্থায় আমরা শেষ হয়ে গিয়েছি। পরিবার জ্বলে গিয়েছে।’

তাঁর এহেন বিস্ফোরক অভিযোগের প্রেক্ষিতে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি অনুব্রত মণ্ডলের তরফে।


Katha Bhattacharyya

সম্পর্কিত খবর