দুমাস কোথায় লুকিয়ে ছিলেন? CID-র চাপে এই প্রথম মুখ খুললেন শাহজাহান! বললেন, এতদিন…

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গ্রেফতারির পরেও বহাল ছিল সন্দেশখালির ‘বাঘে’র ঔদ্ধত্য। যার বিরুদ্ধে এত ভুরি ভুরি অভিযোগ তার শরীরী ভাষা দেখে সেকথা বোঝা দায়! তদন্তেও বিশেষ সহযোগিতা করছিলেন না তিনি! তবে ভবানী ভবনে দুঁদে সিআইডি অফিসারদের জেরার মুখে আস্তে আস্তে মুখ খুলতে শুরু করেছেন শেখ শাহজাহান (Sheikh Shahjahan)।

গ্রেফতারির পর সন্দেশখালির ‘বেতাজ বাদশা’র মধ্যে যে ঔদ্ধত্য দেখা যাচ্ছিল, সেটা এখন অনেকটা কমেছে বলে জানা যাচ্ছে। সূত্রের খবর, ইডির (ED) ওপর হামলার পর ৫৫ দিন কোথায় ছিলেন সেকথাও জেরায় ‘ফাঁস’ করেছেন তিনি। শাহজাহান জানিয়েছেন, গত ৫ জানুয়ারি ইডি (Enforcement Directorate) আধিকারিকদের ওপর হামলার পর বাড়ির সামনে দাঁড়িয়েই অনুগামীদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে তখনই ঠিক করা হয়।

সিআইডির (CID) জেরার প্রথম দিকে শাহজাহান বেশ ঔদ্ধত্য দেখাচ্ছিলেন বলে খবর। এক প্রশ্নের উত্তর বারবার দিতে পারবেন না বলেও নাকি জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। খাওয়াদাওয়া নিয়েও বেশ কিছু দাবিদাওয়া করেছিলেন। তবে লাগাতার জেরার মুখে আস্তে আস্তে তাঁর ভোলবদল হতে শুরু করেছে বলে জানা যাচ্ছে। এবার মুখ খুলতে শুরু করেছেন তিনি। কারণ একটা পর্যায়ে শাহজাহান বুঝে গিয়েছেন দল আর তাঁর পাশে নেই।

সূত্রের খবর, ভবানী ভবনে জেরায় শাহজাহান জানিয়েছেন, হামলা-পরবর্তী ৫৫ দিন সন্দেশখালিতেই (Sandeshkhali) ছিলেন তিনি। নানান দ্বীপে অনুগামীদের বাড়িতে গা ঢাকা দিয়ে থাকছিলেন। সেই সঙ্গেই অনুগামীদের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রেখেছিলেন। কাকে কোথায় কী বলতে হবে তিনি সবাইকে শিখিয়ে দিতেন।

sheikh shahjahan

আরও পড়ুনঃ ‘স্কিমকে স্ক্যামে পরিণত করায় মাস্টারি করেছে তৃণমূল’! কৃষ্ণনগরে দাঁড়িয়ে সুর চড়ালেন প্রধানমন্ত্রী

এত কিছুর পরেও অবশ্য শেষরক্ষা হয়নি! ৫৬ দিনের মাথায় রাজ্য পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন সন্দেশখালির ‘বাঘ’। অন্যদিকে গৌরব ভারিল নামের যে ইডি কর্তা সন্দেশখালির এই নেতার বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন তাঁকেও সিআইডির তরফ থেকে তলব করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ইডি কর্তার বয়ানও রেকর্ড করা হবে বলে জানা যাচ্ছে।

Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পড়াকালীন সাংবাদিকতা শুরু। বিগত ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত। রাজনীতি থেকে বিনোদন, ভাইরাল থেকে ভ্রমণ, সব ধরণের লেখাতেই সমান সাবলীল।

সম্পর্কিত খবর