বাংলা হান্ট ডেস্ক : সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) ইডি (Enforcement Directorate) পেটানোর ঘটনায় মূল অভিযুক্ত শেখ শাহজাহান (Sheikh Shahjahan) এখনও ফেরার। এদিকে তার আগেই সামনে এল এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। তদন্তকারীদের দাবি, এই শেখ শাহজাহানের হাত ধরেই রোহিঙ্গারা (Rohingya) ঢুকেছে ভারতে। তাদের সাহায্য করতে তিনি পৌঁছে গেছিলেন সুদূর মায়নমারে। এমনকি ভারতে রোহিঙ্গাদের বসতি গড়তে সন্দেশখালির ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে প্রচুর টাকাও তুলেছেন তিনি।
ইডি সূত্রে খবর, শাহজাহানের পাসপোর্ট বলছে, ২০১৭ সালে মায়ানমার গেছিলেন শেখ শাহজাহান। জঙ্গী বিরোধী আন্দোলনে উত্তাল হয়ে উঠেছে সেদেশের রাজনৈতিক মহল। এরকম একটা সময়ে মায়ানমারের রোহিঙ্গা অধ্যুষিত রাখাইন প্রদেশে পৌঁছে গিয়েছিলেন শেখ শাহজাহান। রোহিঙ্গা নেতাদের সাথে বৈঠকের পর সেখানে নাকি বহু টাকাও বিনিয়োগ করেছেন তিনি।
তবে এখানেই থেমে থাকেননি শেখ শাহজাহান। ভারতে ফেরার পর থেকেই তিনি ভাবতে থাকেন যে, কীভাবে ভারতে রোহিঙ্গা বসতি গড়ে তোলা যায়। এই ভাবনা থেকেই নাকি সরবেড়িয়া বাজারে ব্যবসায়ীদের থেকে একপ্রকার গায়ের জোরে টাকা তুলতে শুরু করেন তিনি। সেই তহবিলের নাম দেন রোহিঙ্গা সংগ্রামী তহবিল। শাহজাহান এবং তার অনুগামীরা প্রচুর টাকাও সংগ্রহ করেন।
আরও পড়ুন : ‘প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কটূকথা বরদাস্ত নয়’, হঠাৎ ভোলবদল শরদ পাওয়ারের, উল্টো সুর কংগ্রেসের
ইডি সূত্রে আরও জানা গেছে, ভারতীয়দের পেটে লাথি মেরে আদায় করা এই টাকা দিয়েই রোহিঙ্গাদের ভারতে নিয়ে আসেন শেখ শাহজাহান এবং তার অনুগামীরা। যদিও এই সবটাই হয় ভারতীয় আইন অমান্য করেই। এমনকি ভারতে আনার পর তাদের জন্য আলাদা বসতিও গড়ে দেয় শেখ শাহজাহান। এমনকি অবৈধ উপায়ে তৈরি করা হয় ভারতীয় পাসপোর্ট এবং আধার কার্ডও।