বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিগত প্রায় দু’মাস ধরে সংবাদের শিরোনামে রয়েছে সন্দেশখালি এবং শেখ শাহজাহান (Sheikh Shahjahan)। বৃহস্পতিবার কাকভোরে সন্দেশখালির ধামাখালিতে হানা দেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকরা। শাহজাহান-ঘনিষ্ঠ আইনুর মোল্লা, রিন্টু মোল্লা এবং জামালউদ্দিন মোল্লার বাড়িতে যায় ইডি (ED)। মাছের ব্যবসার আড়ালে কালো টাকা সাদা করা হতো কিনা সেই খোঁজেই শাহজাহান-ঘনিষ্ঠদের বাড়িতে উপস্থিত হন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা।
জানা যাচ্ছে, মাছের ব্যবসার আড়ালে বেনিয়মের খেলা চলার খবর আগেই কানে এসেছিল গোয়েন্দাদের। মাছের আমদানি-রফতানির আড়ালেই সন্দেশখালির (Sandeshkhali) সাসপেন্ডেড তৃণমূল (TMC) নেতার একাধিক সংস্থা প্রচুর টাকা তছরুপ করছিল বলে অভিযোগ। এরপর ফেব্রুয়ারি মাসে ইসিআইআর দায়ের করে এই বিষয়ে তদন্ত শুরু করে ইডি (Enforcement Directorate)। হাওড়া, কলকাতা সহ বেশ কিছু এলাকায় তল্লাশিও চালানো হয়।
এরপর বৃহস্পতিবার কাকভোরে ধামাখালিতে পৌঁছে যান গোয়েন্দারা। শাহজাহান-ঘনিষ্ঠ মইদুল মোল্লার শ্যালক রিন্টু সহ আরও দু’জনের বাড়িতে হানা দেন ইডি আধিকারিকরা। এরপর জনপ্রিয় এক সংবাদমাধ্যমের কাছে মইদুলের বিষয়ে একাধিক অজানা তথ্য ফাঁস করেন শাহজাহানের আর এক হিসাব রক্ষক বিজয় সাহা।
আরও পড়ুনঃ এই বছর লাস্ট, ২৫ সালে আর তৃণমূলকে দেখা যাবে না! নন্দীগ্রাম থেকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন শুভেন্দু
সন্দেশখালির ‘বাদশা’ শাহজাহানের অ্যাকাউন্ট্যান্ট বিজয় বলেন, ‘সরবেড়িয়া মার্কেট, ধামাখালি মার্কেট থেকে পার্টিরা মাছ দেয়। সেগুলো আমাদের ছেলেরা কেনে। এরপর কোম্পানিতে যায় এবং প্রত্যেকটা পার্টির নামে বিল করে দেয়। প্রায় কয়েকশো কোটি টাকার ব্যবসা আছে। ৭০-৮০ জন ব্যাপারি আছে। মার্কেট থেকে ওঁরাই মাছ কিনে দিত। এরপর টাকাগুলো যেত শেখ সাবিনা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে। এই টাকা পয়সার হিসাবই মূলত দেখতেন মইদুল’।
আজ সকালে মাছের ব্যবসার আড়ালে কী চলতো, সেই প্রশ্নের উত্তরের খোঁজেই ধামাখালিতে পৌঁছন ইডি আধিকারিকরা। শাহজাহান-ঘনিষ্ঠ মাছ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বাড়িতে হানা দেন তাঁরা। কাকভোরে ইডির এই অভিযান ঘিরে স্বাভাবিকভাবেই সরগরম উত্তর ২৪ পরগণার সন্দেশখালি। এদিন ধামাখালি এলাকায় একটি পাইকারি মাছের বাজার ঘিরে তল্লাশিও চলে বলে খবর।