বাংলাহান্ট ডেস্ক: বলিউডের ফিগার সচেতন অভিনেত্রী শিল্পা শেট্টি (Shilpa Shetty)। পঞ্চাশের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়েও তাঁর স্বাস্থ্য এবং ঈর্ষনীয় ফিগার নজর কাড়তে বাধ্য। কিন্তু এত ফিট থেকেও কিন্তু অসুখকে এড়িয়ে যেতে পারেননি শিল্পা। তাঁর অজান্তেই শরীরে বাসা বেঁধেছিল এক বিরল রোগ, যার জন্য মা হতে পারছিলেন না শিল্পা।
দুই সন্তান ভিয়ান ও সমিশাকে নিয়ে সুখের সংসার শিল্পার। সমিশার জন্ম সারোগেসির মাধ্যমে হলেও বড় ছেলে ভিয়ান তাঁর আপন গর্ভের সন্তান। কিন্তু তাকে গর্ভে ধারণ করতেই যে কত কাঠখড় পোড়াতে হয়েছিল তা শিল্পা নিজের মুখে না বললে কেউ জানতেই পারতেন না।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে শিল্পা বলেন, তিনি এমনিতে একেবারেই সুস্থ। তাই তাঁর শরীরে যে এমন একটি রোগ বাসা বেঁধেছে তা তিনি ঘুণাক্ষরেও টের পাননি। অভিনেত্রী জানান, তাঁর যখন ৩০ বছর বয়স তখন তিনি প্রথম মা হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পরেই গর্ভপাত হয়ে যায় শিল্পার।
নেপথ্যের কারণ খুঁজতে গিয়েই ভয়ঙ্কর সত্যের সম্মুখীন হন অভিনেত্রী। তিনি অ্যান্টিফসফোলিপিড সিন্ড্রোম (Antiphospholipid Syndrome) নামক একটি বিরল রোগে আক্রান্ত। যে কারণে গর্ভস্থ সন্তানকে ধরে রাখতে পারছিলেন না তিনি। মাত্র ২ শতাংশ মহিলারা নাকি এই রোগে আক্রান্ত হন। খবরটা শুনে প্রথমে স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলেন অভিনেত্রী।
তাই দ্বিতীয় বার চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে টানা সাড়ে সাত মাস ধরে ইঞ্জেকশন নিয়ে যেতে হয়েছিল শিল্পাকে। সারা শরীরে দাগ হয়ে গিয়েছিল তাঁর। অনেক কষ্ট সহ্য করার পর ভিয়ানের জন্ম দিয়েছিলেন শিল্পা। পাশাপাশি সমিশার জন্মের সময় কেন তিনি সারোগেসিকে মাধ্যম হিসাবে বেছে নিলেন সেটাও জানিয়েছেন।
শিল্পা বলেন, তাঁর বিরল রোগের জন্য একাধিক বার গর্ভপাত হয়েছে। চার বছর ধরে সন্তান দত্তক নেওয়ার চিন্তা ভাবনাও করেছেন তাঁরা। কিন্তু শেষমেষ ওই রাস্তাটাও বন্ধ হয়ে যাওয়াতে সারোগেসির পথেই হাঁটেন শিল্পা।