বাংলাহান্ট ডেস্ক : দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যেপাধ্যায় (Abhisekh Banerjee) অনেক আগেই ঘোষণা করেন তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে (Vice President Election 2022) অংশগ্রহণ করবে না। কিন্তু সেই নির্দেশকে উপেক্ষা করে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোট দিলেন শিশির অধিকারী (Shishir Adhikari) এবং দিব্যেন্দু অধিকারী (Dibyendu Adhilari)। কাঁথি ও তমলুকের তৃণমূল সাংসদ শিশির-দিব্যেন্দু যদিও ভোট দেওয়ার কথা স্বীকারই করেননি। এক জন তো আবার ভোটদানের প্রসঙ্গ সরাসরি এড়িয়েই যান।
শনিবারের উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তৃণমূল অংশ নেবে না বলে আগেই ঘোষণা করেন অভিষেক। সেই সিদ্ধান্তকে সমর্থনও করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের পক্ষ থেকে জানানো হয় এনডিএ জোটের প্রার্থী জগদীপ ধনখড় বা বিরোধীদের সম্মিলিত প্রার্থী মার্গারেট আলভার কাউকেই সমর্থন করবে না দল।
প্রসঙ্গত, উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোটাধিকার থাকে শুধু লোকসভা বা রাজ্যসভার সাংসদদেরই। সেই হিসাবে সব সাংসদকেই ভোটদান থেকে বিরত থাকতে বলা হয় তৃণমূলের পক্ষ থেকে। দলের সঙ্গে মতানৈক্য তৈরি হওয়া শিশির-দিব্যেন্দুকে সেই নির্দেশের চিঠি পাঠান লোকসভায় তৃণমূলের দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরও দলের নির্দেশ অমান্য করে শিশির ও দিব্যেন্দু শনিবার রাষ্ট্রপতি ভোটে অংশ নেন, এবং তাঁরা ভোট দানও করেন। যদিও পিতা-পুত্র দু’জনেই এই প্রসঙ্গে কিছুই বলতে চাননি।
অধিকারী পরিবার সূত্রে জানা যাচ্ছে, রাষ্ট্রপতি এবং উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে দলের কোনও হুইপই থাকে না। এই দু’টি পদ দেশের সর্বোচ্চ পদ। সেই নির্বাচনে জনপ্রতিনিধিরা কেন ভোট দিতে পারবেন না? ঘটনা চক্রে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লিতে, এদিকে শিশির, দিব্যেন্দুও এই মুহুর্তে দিল্লিতে রয়েছেন। শুক্রবার দিল্লতে সাংসদদের দলীয় নৈশভোজ হয়। সেই ভোজে ডাকা হয়নি শিশির, দিব্যেন্দুকে। ডাকা হলে হয়তো তাঁরা জেতেন। অধিকারী পরিবারের সূত্র প্রশ্ন তোলা হয়েছ, এক দিকে দল শিশির-দিব্যেন্দুর সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করতে চাইছে, অন্য দিকে দল সিদ্ধান্ত নিচ্ছে বলে, তাঁরা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। এই দুই বৈপরীত্য কাজ তো কাজ তো এক সঙ্গে হয় না।
জানা যাচ্ছে, শিশির অধিকারী সংবাদ মাধ্যমকে জানান, ‘আমি এখন রয়েছি বারাণসীতে। ভোট দেবো কি দেবো না সেটা আমার ব্যক্তিগত ব্যাপার। উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে যে দু’জন প্রার্থী মনোনীত হয়েছেন তাঁরা দুজনেই আমার ঘনিষ্ঠ।’ অপর দিকে দিব্যেন্দু বলেন, ‘আমি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের ধারেকাছেও যাইনি। ভোট দেওয়ার তো কেনও প্রশ্নই নেই। এখনও একঘণ্টা সময় আছে। কিন্তু ভোট দেব না।’