বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বলিউড ও টলিউড, দু’জায়গাতেই কাজ করা অভিনেতা শোয়েব কবীর বেশ কিছু বছর ধরেই রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। এতদিন তাঁকে তৃণমূল কংগ্রেসের তরুণ মুখ এবং সায়নী ঘোষের ঘনিষ্ঠ সহযোদ্ধা হিসেবেই দেখা গিয়েছে। কিন্তু হঠাৎই রাজনীতির পথে বড় মোড়। তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে হুমায়ুন কবীরের (Humayun Kabir) নতুন দল জনতা উন্নয়ন পার্টিতে যোগ দিলেন শোয়েব।
তৃণমূল ছেড়ে হুমায়ুনের (Humayun Kabir) নতুন দলে শোয়েব
রাজনীতির পাশাপাশি অভিনয়ের দুনিয়াতেও পরিচিত মুখ শোয়েব কবীরের শিকড় মুর্শিদাবাদে। দীর্ঘদিন ধরে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং দলের নানা কর্মসূচিতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন। তবে সম্প্রতি হুমায়ুন কবীরের (Humayun Kabir) তৈরি জনতা উন্নয়ন পার্টি ঘিরে যখন রাজনৈতিক মহলে চর্চা তুঙ্গে, ঠিক তখনই তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন শোয়েব।
জনতা উন্নয়ন পার্টিতে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব
তৃণমূল ছেড়ে শোয়েব কবীর যোগ দিচ্ছেন জনতা উন্নয়ন পার্টিতে। নতুন দলে তিনি রাজ্য মুখপাত্র হিসেবে কাজ করবেন বলে জানা গিয়েছে। অভিনেতা থেকে রাজনীতিক, এই নতুন ভূমিকায় তাঁকে ঘিরে ইতিমধ্যেই কৌতূহল তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
কেন তৃণমূল ছাড়লেন?
এই সিদ্ধান্তের কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে শোয়েব কবীর বলেন, “আমি তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। কিন্তু দলের ঘরে ভাঙন এখন চোখে পড়ার মতো। একজন ইয়ং পলিটিশিয়ান হিসেবে আমার মনে হয়েছে, এই পরিস্থিতির বদল দরকার। সেই কারণেই এই পদক্ষেপ।” তিনি আরও বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক পথচলার কথাও তাঁর ভাবনায় প্রভাব ফেলেছে। “একটা সময়ে তিনিও দল ছেড়ে বেরিয়ে নতুন দল গড়েছিলেন। আমিও সেই তাগিদ অনুভব করেছি,” জানান শোয়েব।
ভোটের লড়াইয়েও দেখা যেতে পারে শোয়েবকে
আগামী বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে একাধিক তারকা প্রার্থীকে দেখা যেতে পারে বলে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা রয়েছে। এই প্রসঙ্গে শোয়েব কবীর স্পষ্ট করেন, তিনি কোন কেন্দ্র থেকে ভোটে লড়বেন, তা এখনও ঠিক হয়নি। তবে এটুকু প্রায় নিশ্চিত, জনতা উন্নয়ন পার্টির প্রার্থী হিসেবেই তাঁকে বিধানসভা নির্বাচনে লড়তে দেখা যাবে।

আরও পড়ুনঃ এই নিয়ে ১০১! ফের আদালতের ‘গ্রিন সিগন্যাল’, স্বস্তিতে শুভেন্দু
আগামী দিনে নজর থাকবে শোয়েবের রাজনৈতিক পথ চলায়। তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে হুমায়ুন কবীরের (Humayun Kabir) নতুন দলে তাঁর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ কোন পথে যায়, সেটাই এখন রাজনৈতিক মহলের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।












