মাসে মাসে কিস্তি দিলেও অ্যাকাউন্টে ঢোকেনি লক্ষীর ভাণ্ডার থেকে গ্যাসের ভর্তুকি, কোন কারণ রয়েছে নেপথ্যে?

Published on:

Published on:

Shocking allegations of cheating on women from swanirbhar gosthi in Katwa

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নিয়মিত টাকা জমা করলেও ব্যাঙ্কে তার কোনও হদিস নেই। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের সঙ্গে চাঞ্চল্যকর প্রতারণার অভিযোগে উত্তাল কাটোয়া (Katwa)। অভিযোগ জাল রসিদ ধরিয়ে বহু মহিলাকে ফাঁদে ফেলে হয়েছে। এমনকি তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট লক হয়ে গিয়েছে যার ফলে সরকারি প্রকল্পের টাকা, যেমন লক্ষ্মীর ভান্ডার ও গ্যাস ভর্তুকি, তুলতে পারছেন না তাঁরা। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই পথে নেমে প্রতিবাদ জানিয়েছেন তাঁরা।

কিস্তি দিলেও জমা পড়ে নি টাকা, প্রতিবাদে সরব কাটোয়ার (Katwa) স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা

প্রসঙ্গত, কয়েক বছর আগে কাটোয়া-২ (Katwa) ব্লকের একাধিক স্বনির্ভর গোষ্ঠী ১.৫ থেকে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ নিয়েছিলেন। অভিযোগ, করোনা পর্ব থেকেই তাঁরা রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের মেঝিয়ারি শাখার এক নিযুক্ত এজেন্টের হাতে নিয়মিত কিস্তি দিতেন। বাড়ি বাড়ি গিয়ে ওই এজেন্ট টাকা সংগ্রহ করে ব্যাঙ্কের রসিদ দিতেন বলেও দাবি মহিলাদের। কিন্তু সম্প্রতি ব্যাঙ্কে গিয়ে তাঁরা জানতে পারেন, সেই টাকা জমা হয়নি, রসিদও নকল।

এই ঘটনায় কাটোয়ার (Katwa) এক গোষ্ঠীর মহিলা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “আমরা সময়মতো কিস্তি দিয়েছি, অথচ ব্যাঙ্ক টাকা নেয়নি বলে দাবি করছে। এখন সরকারি প্রকল্পের টাকাও তুলতে পারছি না। বারবার ব্যাঙ্কে গেলেও শুধু হয়রানি হতে হচ্ছে।”

তৃণমূল কংগ্রেসের কাটোয়া-২ (Katwa) ব্লক সভাপতি পিন্টু মণ্ডল অভিযোগ তুলে বলেন, একাধিক গ্রামে একই ঘটনা ঘটেছে। ব্যাঙ্ক এজেন্ট ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করলেও জমা করেনি। যার ফলে মহিলাদের অ্যাকাউন্ট দু’-তিন বছর ধরে লক। বিষয়টি ইতিমধ্যেই মহকুমা শাসক ও বিডিওকে জানানো হয়েছে।

যদিও ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের কিস্তির যথেষ্ট টাকা জমা পড়েনি। এখনও ঋণ বাকি রয়েছে। তাই তাঁদের লোকআদালতের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে অভিযোগের সত্যতা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানানো হয়েছে।

Shocking allegations of cheating on women from swanirbhar gosthi in Katwa

আরও পড়ুনঃ ‘দাগি’ তালিকা প্রকাশ হতেই চাপে রাজ্য, কী বললেন শিক্ষামন্ত্রী?

ঘটনার জেরে কার্যত দিশাহারা কাটোয়ার (Katwa) বহু স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলা। কিস্তি দেওয়া সত্ত্বেও সরকারি প্রকল্পের টাকা হাতছাড়া হওয়ায় তাঁদের প্রশ্ন, দোষী কারা? প্রশাসন ও ব্যাঙ্ক মিলিয়ে দ্রুত সমাধান না করলে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে নামবেন বলেই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর ওই মহিলারা।