বাংলা হান্ট ডেস্ক : ধুন্ধুমার উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া! সবে মাত্র শেষ হয়েছে তৃণমূলের বৈঠক। তারপরই চলল গুলি। চোপড়ায় মৃত্যু হল ফইজুল রহমান নামে এক তৃণমূল কর্মীর (TMC Worker)। জানা যাচ্ছে, তাঁর বুকের গুলি লাগে। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও তিনজন।
আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার তৃণমূলের বুথ কমিটির বৈঠক ডাকা হয় চোপড়ার দিঘাপানায় (Chopra)। বৈঠক শেষ করে যখন সবাই বেরোচ্ছিলেন তখনই হঠাৎ গুলি চলে। গুলিতে জখম হয়েছেন আরও তিনজন। তাঁদের দলুই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। গুলিতে মারাত্মক জখম ফইজুল রহমানকে ইসলামপুর হাসপাতালে রেফার করেন ডাক্তাররা। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল। চেষ্টা করেও শেষ রক্ষা করা যায়নি।ইসলামপুর নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় তাঁর।
স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, বুথ কমিটির বৈঠকে পঞ্চায়েতের প্রার্থী নিয়ে দুই শিবিরের বচসা হয়। তখনকার মতো মিটেও যায় সমস্যা। কিন্তু বাড়ি ফেরার সময় বাইরের কিছু দুষ্কৃতী এসে ফাইজুলকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। গুলি লাগে তাঁর বুলের বাঁদিকে। রক্তাক্ত হয়ে সেখানেই লুটিয়ে পড়েন ফাইজুল। গুলি লাগে আরও তিনজনের। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি এগুলি সবই ছড়রা গুলি।
ফাইজুলের ছেলের অভিযোগ জানিয়ে বলেন, ‘যে দুষ্কৃতীদের গুলিতে আমার বাবার প্রাণ গেল তারা সবাই তৃণমূলের অন্য গোষ্ঠীর মদতপুষ্ট। এলাকায় তৃণমূল এখন দুটি শিবিরে ভাগ হয়ে গেছে।’ খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছয় চোপড়া থানার পুলিস। তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানান পুলিস আধিকারিকরা।
উত্তর দিনাজপুরের পুলিস সুপার বিশপ সরকার জানান, ‘গুলি চলার ঘটনা ঘটেছে। উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ার চুটিয়াখোর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। মৃতের নাম ফইজুল রহমান। এই ঘটনায় আরও তিন তৃণমূল কর্মী আহত হয়েছেন। দলের ‘বিরুদ্ধ গোষ্ঠী’র বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। এর বেশি এখনই কিছু বলতে পারছি না।’