বাংলাহান্ট ডেস্ক : ভারতীয় সংগীতের জগতে বর্তমানে একটি উজ্জ্বল নাম শ্রেয়া ঘোষাল (Shreya Ghoshal)। অসংখ্য অ্যাওয়ার্ড-সম্মানের পাশাপাশি পাঁচবার জিতেছেন জাতীয় পুরস্কার। অনেক ছোট বয়স থেকেই শ্রেয়ার সুরেলা সফর শুরু হয়। এরপর একের পর এক গানে কন্ঠ দিয়ে জিতে নিয়েছেন শ্রোতাদের মন।
৬৯ তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে গত বৃহস্পতিবারই সম্মানিত হয়েছেন বাংলার মেয়ে শ্রেয়া ঘোষাল। এই নিয়ে তাঁর হাতে পাঁচবার উঠল জাতীয় পুরস্কার। তামিল ছবি ‘ইরাভিন নিজহাল’-এর ‘মায়াভা চায়াভা’ গানের জন্য শ্রেয়া ঘোষাল জিতে নিয়েছেন সেরা গায়িকার সম্মান। কিন্তু এতোবার জাতীয় পুরস্কার জেতা সত্ত্বেও তিনি কি লিঙ্গ বৈষম্যের শিকার?
এ প্রশ্নটা কিছুদিন আগেই মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল। গায়িকার অনেক ভক্ত সোশ্যাল মাধ্যমে একটি বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন। ‘রকি অউর রানি কি প্রেম কাহানি’ ছবির গান ‘তুম কেয়া মিলে’-তে অরিজিৎ সিং ও শ্রেয়া ঘোষাল যৌথভাবে গলা দিয়েছেন। কিন্তু এই গানের ভাগাভাগি ও প্রচার নিয়ে শ্রেয়া লিঙ্গ বৈষম্য শিকার হয়েছে বলে দাবি করেছেন তাঁর ভক্তরা।
আরোও পড়ুন : এবার সবসময় ঝকঝকে থাকবে লোকাল ট্রেন, বিরাট পদক্ষেপ নিল রেল! খুশি যাত্রীরাও
এই বিতর্ক শুরু হওয়ার পর শ্রেয়া ঘোষাল এবার নিজে মুখ খুলেছেন। যখন এই গানটির ঘোষণা হয় তখন তাতে শ্রেয়া ঘোষালের নাম ছিল না। গানটির কন্ঠদাতা হিসেবে শুধু অরিজিৎ সিং এর নাম ছিল। কেন শ্রেয়া ঘোষালের নাম বাদ দেওয়া হল তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তাঁর ভক্তরা। শুরু হয় তুমুল বিতর্ক।
আরোও পড়ুন : “আমায় ভালোবাসার জন্য সলমনকে…”, এবার ভাইজানের কেশহীন লুক নিয়ে মন্তব্য শাহরুখের
শ্রেয়া ঘোষালের ভক্তরা দাবি করেছিলেন, লিঙ্গ পক্ষপাত লক্ষ্য করা গেছে এক্ষেত্রে। এছাড়াও লক্ষ্য করা গেছে পুরুষ ও মহিলা শিল্পীদের প্রতি অসম আচরণ। ফলে, দীর্ঘদিন ধরেই গায়িকার ভক্তদের মনে বিতৃষ্ণা তৈরী হয়েছে। শ্রেয়া ঘোষাল একটি সাক্ষাৎকারে স্বীকার করে নেন বিপরীত লিঙ্গের প্রতি অসম আচরণের কথা।
শ্রেয়া বলেছেন, “এই ব্যাপারটি শুধুমাত্র গান কিংবা ছবির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। শুধুমাত্র অভিনেত্রী বা গায়িকাদের ব্যাপার নয়। এটা যে কোনও জায়গা, কোম্পানি, শিল্পে চলে আসছে। কর্মক্ষেত্রে এটা একটা সাধারণ গল্প ও লড়াই। প্রতিনিয়ত এর সম্মুখীন হন মহিলারা। শুধু ভারত না, এটা বিশ্বব্যাপী সমস্যা।”