বাংলাহান্ট ডেস্ক: জি বাংলার (zee bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক ত্রিনয়নীর (trinoyoni) মুখ্য চরিত্র ত্রিনয়নী বা নয়নকে চেনেন না এমন সিরিয়ালপ্রেমী খুব কম আছেন। এখন সিরিয়ালটি বন্ধ হয়ে গেলেও দর্শকদের মনে এখনো রয়ে গিয়েছেন নয়ন। ত্রিনয়নীর চরিত্রে যিনি অভিনয় করেন তাঁর নাম শ্রুতি দাস (shruti das)। মিষ্টি মেয়েটা কিছুদিনের মধ্যেই মন জয় করে নিয়েছে সবার।
শুধু রূপ নয়, গুণবতীও বটে শ্রুতি। প্রথম সিরিয়ালের সাফল্যের পরেই তিনি পেয়ে গিয়েছেন দ্বিতীয় সিরিয়াল। স্টার জলসার ‘দেশের মাটি’ সিরিয়ালে অভিনয় করছেন শ্রুতি। কিন্তু অভিনয় দক্ষতা দিয়েও নেটিজেনদের একাংশকে খুশি করতে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। উলটে ধেয়ে এসেছে রূপ, গাত্রবর্ণ নিয়ে কটাক্ষের তীর।
সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের ধারাবাহিক সংক্রান্ত পোস্ট শেয়ার করতেই একের পর এক কুমন্তব্য শুরু হয়েছে। শ্রুতির গায়ের রং নিয়ে তো বটেই, তাঁকে ‘ভূত’ বলতেও ছাড়েননি অনেকে। তবে এসব ট্রোলের বিরুদ্ধে মাথা গরম নয়, ছোট্ট করে অভিনেত্রীর জবাব, সব হিসেব তোলা থাকবে।
তবে শ্রুতি জানান, গায়ের রং নিয়ে এই ট্রোল, কটাক্ষ এসব নতুন নয়। অনেকদিন থেকেই নাকি এই ধরনের মন্তব্য শুনতে হচ্ছে তাঁকে। এমনকি এক সময়ের প্রাক্তন প্রেমিকও নাকি শ্রুতিকে বলেছিলেন নিয়ম করে কাঁচা হলুদ মাখতে। তাহলেই তিনি ফর্সা হয়ে যাবেন। মুখে কোনো জবাব দেননি শ্রুতি, দিয়েছেন নিজের কাজের মাধ্যমে।
পেয়ে গিয়েছেন নিজের মনের মানুষও। তিনি ‘ত্রিনয়নী’ সিরিয়ালের পরিচালক স্বর্ণেন্দু সমাদ্দার। বয়সে তিনি শ্রুতির চেয়ে ১৪ বছরের বড়। সিরিয়ালে শুট করতে গিয়েই পরিচালকের প্রেমে পড়েন অভিনেত্রী। তবে দুজনের বয়সের ফারাক নিয়ে দুই পরিবারের দিক থেকেও আপত্তি এসেছিল। কিন্তু শ্রুতির জেদের কাছে তা ধোপে টেকেনি।
প্রসঙ্গত, অভিনয় জগতে যে কোনও দিনও আসবেন না প্রথমে ভাবেননি শ্রুতি। হঠাৎ করেই এসে পড়া এই ইন্ডাস্ট্রিতে। ত্রিনয়নী ধারাবাহিকের অডিশনের কথা জানতে পেরে চাকদা থেকে কলকাতায় আসেন তিনি। কিন্তু এতক্ষণের জার্নির ক্লান্তিটা ফুটে উঠেছিল তাঁর চোখে মুখে।
সেদিন অডিশনে সুযোগ পাননি শ্রুতি। বাধ্য হয়ে আবার ফিরে যেতে হয়েছিল কাটোয়া। কিন্তু রাতেই আবার একটা ফোন পালটে দেয় তাঁর জীবন। তাঁকে জানানো হয় অডিশনে তিনি নির্বাচিত। তারপরেই কাটোয়ার শ্রুতি হয়ে ওঠেন ভবিষ্যৎদ্রষ্টা ত্রিনয়নী। আর এখন তিনি দেশের মাটির নোয়া।