বাংলা হান্ট ডেস্ক: ভারতীয় সময় অনুযায়ী মঙ্গলবার দুপুরে পৃথিবীতে ফিরেছেন শুভাংশু শুক্লেরা (Shubhanshu Shukla)। নাসার ‘গ্ৰেস’ নামে এই অভিযানে ছিলেন শুভাংশু শুক্লা সহ তিন নভশ্চর। তারা হলেন ক্রু-কমান্ডার পেগি হুইটসন, মিশন বিশেষজ্ঞ স্লাওস উজানস্কি-উইজ়নিউস্কি এবং টিবর কাপু। টানা ১৮ দিন মহাকাশের চক্কর কাটার পর পৃথিবীতে নিরাপদে ফিরলেন শুভাংশু শুক্লা ও তিন নভশ্চর। স্পেসএক্স ড্রাগনের মহাকাশযান ‘গ্ৰেস’ করে শুভাংশু শুক্লা সহ আরও তিনজন মহাকাশচারীকে নিয়ে এই মহাকাশযান মহাকাশের উদ্দেশ্যে গিয়েছিল। এরপর ১৪ জুলাই ঠিক বেলা ৩টে ১ মিনিট নাগাদ আমেরিকার ক্যালিফর্নিয়ার উপকূলের কাছে প্রশান্ত মহাসাগরে নামে শুভাংশুরা।
শুভাংশুরা কেন প্রশান্ত মহাসাগরে নামলেন? (Shubhanshu Shukla)
গত ২৫ জুন ফ্লরিডা থেকে স্পেসএক্সের ‘ড্রাগন’ মহাকাশযানে চড়ে আইএসএসের (ISS) উদ্দেশে পাড়ি দিয়েছিলেন তাঁরা। তারপর ১৪ জুলাই ‘গ্ৰেস’ মহাকাশযানটি প্রশান্ত মহাসাগরের দক্ষিণ ক্যালিফর্নিয়ার উপকূলের কাছে স্প্ল্যাশডাউন পদ্ধতিতে জলে অবতরণ করে। সূত্রের খবর, জলে নামার পরই উদ্ধারকারী জাহাজ সেখানে পৌঁছে মহাকাশচারীদের বের করে আনে। এখন মনে প্রশ্ন হতে পারে, মহাকাশযানটি মাটিতে না নেমে কেন জলে নামল?
‘গ্ৰেস’ মহাকাশযানটিকে মাটিতে না অবতরন করিয়ে জলে অবতরন করার বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, মহাকাশযানকে মাটিতে না নামিয়ে জলে নামানোর অন্যতম কারণ হল আবহাওয়া। তাঁরা জানান, যখন একটি মহাকাশ যান পৃথিবীর বায়ুমন্ডলে প্রবেশ করে তখন তার গতি থাকে হাজার হাজার কিলোমিটার। এত গতির কারণে মহাকাশযানের সঙ্গে বাতাসের সংঘর্ষ হয়। যার ফলে প্রচুর তাপ তৈরি হয়। পাশাপাশি মহাকাশযানের ক্ষতি হতে পারে। এই কারণ থেকে রক্ষা পেতেই মহাকাশযানটির চারপাশে একটি বিশেষ তাপরোদক আবরণ দেওয়া থাকে।
আরও পড়ুন: টিসিএস কর্মীদের জন্য বড় ঘোষণা! ত্রৈমাসিকে মিলবে১০০% পরিবর্তনশীল ভাতা
এছাড়াও বায়ুমণ্ডলের ঢোকার পরেই মহাকাশের গতি কমানোর জন্য ব্যবহার করা হয় প্যারাস্যুট। সূত্রের খবর, যখন স্পেস ক্যাপসুল সমুদ্রে পড়ে তখন তার গতিবেগ থাকে আনুমানিক ১৫-২০ মাইল প্রতি ঘন্টা। যা তুলনামূলকভাবে অনেকটাই ধীর। আর এই গতি কমানোর জন্য নাসা অ্যারোব্রেকিং নামক কৌশল ব্যবহার করে। এই অ্যারোব্রেকিং বায়ুমন্ডলের ঘর্ষণ কাজে ব্যবহৃত হয়। পাশাপাশি গতি কমিয়ে আনতে সাহায্য করে।