বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্কঃ ভারতীয় দল (Indian Cricket Team) আজ অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে (India vs Australia) তিন ম্যাচের ওডিআই সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচটি খেলতে ইন্দোরের হোলকার স্টেডিয়ামে মাঠে নেমেছে। এই ম্যাচেও রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি, হার্দিক পান্ডিয়ার মতো তারকারা অনুপস্থিত থাকায় নেতৃত্বের দায়িত্বে লোকেশ রাহুল। আর টসে জিতে এদিন তিনি প্রথম ম্যাচে প্রথমে বোলিং করে জেতার পর আজ প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
রুতুরাজ গায়কোয়াড গত ম্যাচে অসাধারণ অর্ধশতরান করেছিলেন। কিন্তু এই ম্যাচে তিনি বেশিক্ষণ টিকতে পারলেন না। তারকা ফাস্ট বোলার হ্যাজেলউডের শিকার হয়ে ড্রেসিংরুমে ফিরেছেন তিনি। কিন্তু সেই ঘটনা কোনও প্রভাব ফেলেনি শুভমান গিলের মনে। ইন্দোরের পাটা উইকেটে তিনি অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের নাস্তানাবুদ করে দেন। তাকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন শ্রেয়স আইয়ার। গত ম্যাচে কিছুটা গিলের ভুলের কারণেই রান আউট হতে হয়েছিল শ্রেয়সকে। কিন্তু এই ম্যাচে তার আক্রমণের হাত থেকে রেহাই পাইনি কোন অজি বোলার।
আজ আক্রমণের শুরুটা করেছিলেন শ্রেয়স আইয়ার। গিল প্রথমদিকে দেখেশুনে ব্যাটিং করেন, কিন্তু যখন আক্রমণ শুরু করেন তখন তার ব্যাটের সামনে থেকে নিস্তার পায়নি কোনও অজি বোলার। হ্যাজেলউডের স্পেল শেষ হওয়া মাত্র তিনি পুরোদমে আক্রমণ শুরু করেন বোলারদের ওপর। তার চোখ জুড়ানো শটগুলি মুগ্ধ করছিল দর্শকদের। কিন্তু যতক্ষণ তিনি এবং আইয়ারের জুটি ব্যাটিং করছিল ততক্ষণ দৃষ্টিনন্দন একাধিক শট খেলে আইয়ারের পাশাপাশি সমান সপ্রতিভ ছিলেন গিল।
আজ অনবদ্য ছন্দে দেখিয়েছে শ্রেয়স আইয়ারকেও। গিল মাঠে এসে সেট হতে সময় নিয়েছিলেন। কিন্তু শ্রেয়স শুরু থেকেই ছিলেন আগ্রাসী এবং ভেবেই নেমেছিলেন যে বিশ্বকাপের আগে নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করবেন। নিজের ইনিংসের ৪১ তম বলে শুভমানের মতোই ছক্কা মেরে নিজের হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি। এরপর নিজের শতরান করতে তিনি সময় নেন আরও ৪৫ বল। শেষ পর্যন্ত অতিরিক্ত আগ্রাসী হতে গেলে ৯০ বলে ১০৫ রান করে তিনি আউট হন।
শ্রেয়স যখন ড্রেসিংরুমে ফেরেন তখন শুভমান ৯০-এর ঘরে। ছক্কা মেরে হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করলেও শতরানের সময় তিনি অতটা ঝুঁকি নেননি। ৯২ তম বলে কুইক শর্ট রান নিয়ে তিনি সম্পূর্ণ করেন নিজের ষষ্ঠ ওডিআই শতরান। বিশ্বকাপের আগে এই ওপেনারের এমন ফর্ম স্বস্তি দিচ্ছে ভারতীয় ভক্তদের। এইদিন আইয়ারের সঙ্গে তার ২০০ রানের একটি পার্টনারশিপ হয়। তবে সেঞ্চুরি সম্পূর্ণ করার পর তিনি বেশিক্ষণ টেকেননি। ৯৭ বলে ছয়টি চার এবং চারটি ছক্কা সহ ১০৪ রানের একটি প্রশান্তি ভরা ইনিংস উপহার দিয়ে বিদায় নেন তিনি।
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপের আগে বুমরার মতো মারাত্মক বোলার হাতে পেলো BCCI, দেওয়া হলো শেষ সুযোগ
গিলের এহেন ব্যাটিং দেখে প্রবল চিন্তায় থাকবেন বাবর আজম। এশিয়া কাপটা তার একেবারেই ভালো যায়নি। নেপালের বিরুদ্ধে একটি বড় শতরানের ইনিংস বাদ দিয়ে তিনি ওই টুর্নামেন্টে ব্যর্থই হয়েছেন বলা যায়। কিন্তু তার পাশাপাশি কোনওভাবে ওডিআই ফরম্যাটে ব্যাটারদের ক্রমতালিকার শীর্ষস্থানটা ধরে রেখেছিলেন বাবর। ২০০ রান করলেই তাকে টপকে যাবেন এমনটা নিশ্চিত ছিল। সিরিজের প্রথম দুই ওডিআই ম্যাচে মোট ১৭৮ রান করেছেন গিল। অর্থাৎ রাজকোটে সিরিজের তৃতীয় ওডিআই ম্যাচে আর ২২ রান করলেই তিনি বাবরকে টপকে মাত্র ২৪ বছর বয়সে ব্যাটারদের আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষস্থানে পৌঁছে যাবেন।