বাংলা হান্ট ডেস্ক : বঙ্গ জুড়ে এখন উৎসবের আমেজ। দুর্গোৎসবের (Durgapuja) আলোয় আলোকিত মানুষের মন থেকে শহর ও শহরতলির অলিগলি। মায়ের আগমনের উচ্ছাসে গা ভাসাতে মরিয়া বাঙালি, মহালয়ার দিন থেকেই পুজো পরিক্রমায় বেরিয়ে পড়েছেন। সেরা পুজোর লড়াইয়ে দিকে দিকে থিম পুজোর হিড়িক। আর এই পুজোগুলোতে অনেকগুলো শারদ সম্মান দেওয়া হয়ে থাকে। বিগত বছরের মত এবারও দুর্গাপুজোতে দুর্গোৎসব সম্মান নিয়ে এসেছে শ্যামাপ্রসাদ দুর্গোৎসব সম্মান (Shyamaprasad Durgotsab Samman)।
মায়ের আরাধনায় মণ্ডপে মণ্ডপে ফুটে ওঠা সৃষ্টিশীলতাকে সম্মান জানাতে অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়ের উদ্যোগে ‘শ্যামাপ্রসাদ দুর্গোৎসব সম্মান’ পৌঁছে গিয়েছে কলকাতাসহ বাংলার বুকে। চতুর্থী থেকে নবমী দিকে দিকে পৌঁছে গিয়েছে তাদের টিম। মণ্ডপসজ্জা থেকে শুরু করে থিম পরিকল্পনা পর্যবেক্ষণ করে শ্যামাপ্রসাদ দুর্গোৎসব সম্মানে সম্মানিত করেছে একাধিক পুজোকে।
চলতি বছর “শ্যামাপ্রসাদ দুর্গোৎসব সম্মান” পেয়েছে এ পি জি মেমোরিয়াল অ্যাসোসিয়েশন , ইসাপুর , সিয়ালডাঙ্গা, কামারডাঙ্গা রোড, হাওড়া। এছাড়াও ৩১ পরিবার মহিলা পুজো কমিটি, তাহেরপুর,পল্লীশ্রী ক্লাব, বাদকুল্লা, বিদ্রোহী সংঘ, বগুলা, আদিবাসী পাড়া দুর্গাপুজো কমিটি, কামালপুর ধূমকেতু ক্লাব , মনসাতলা, উলুবেড়িয়া, হাওড়া জেলা পেয়েছে শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষ্যে , বিশেষ সম্মান ” শ্যামাপ্রসাদ দুর্গোৎসব সম্মান “।
আরও পড়ুন : ‘নিজেদের স্বার্থে ইচ্ছাকৃত কম…’, বাঘা যতীন রিলিজ হতেই বিষ্ফোরক দেব
শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী রিসার্চ ফাউন্ডেশনের কর্ণধার ড. অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায় (Anirban Ganguly) এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের শুভবুদ্ধির কারণেই পশ্চিমবঙ্গ আজ ভারতবর্ষের অংশ। তাই তাঁকে উৎসর্গ করেই বাঙালির অন্যতম শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গোৎসবে এই সম্মানের আয়োজন করা হয়েছে।’ প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, শুধুমাত্র উৎসবের আয়োজনেই নয় সারাবছর মানুষের স্বার্থে মানুষের পাশে থাকে শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী রিসার্চ ফাউন্ডেশন। যে কোনও প্রয়োজনে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় এই সংগঠন। অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়ের উদ্যোগে বহুমানুষ উপকৃত হন বর্ষব্যাপী। এবং তার এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানায় বাংলা হান্ট। শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী রিসার্চ ফাউন্ডেশনের এমন উদ্যোগের সাথী হতে পেরে আজ বাংলা হান্ট গর্বিত।