বাংলাহান্ট ডেস্ক: অসম্ভবকে সম্ভব করে দেখিয়েছে মিঠাই (Mithai)। হ্যাঁ, দাদুর রাগী নাতিকে পারিবারিক ব্যবসায় যোগ দেওয়ানোটা এক রকম অসম্ভবই ছিল বটে। অন্তত কয়েক মাস আগে পর্যন্তও ব্যাপারটা ভাবতেও পারত না মোদক বাড়ির কেউই। কিন্তু এখন সিদ্ধার্থ অনেকটাই বদলে গিয়েছে। স্ত্রীকে চোখে হারায় সে। পরিবারেরও অনেক কাছাকাছি এসে গিয়েছে।
তাই সাহস করে প্রস্তাবটা দিয়েই দিয়েছে মিঠাই। প্রথমে ক্ষেপে উঠলেও পরে অবশ্য পারিবারিক মিষ্টির ব্যবসা সিদ্ধেশ্বর মোদকে যোগ দিতে রাজি হয়েছে সিড। তাও আবার রীতিমতো সম্মানীয় দু দুটি চাকরির লোভনীয় প্রস্তাব ছেড়ে। সিদ্ধেশ্বর গ্রুপের সেলস ও মার্কেটিংয়ের দিকটা দেখার দায়িত্ব পড়েছে সিদ্ধার্থের উপরে।
প্রথম দিনে হেড অফিসে এসেই ঝড় তুলে দিয়েছে সিডি বয়। রীতিমতো স্যুটেড বুটেড হয়ে অফিসে এসেই তুখোড় ইংরেজি বলে কর্মচারীদের হকচকিয়ে দিয়েছে। ময়রা কাকাদের ভ্যাবাচ্যাকা খাওয়া মুখের দিকে তাকিয়ে সামাল দিতে হয়েছে মিঠাইকেই। তারপর নিজের কেবিনে ঢুকেও আরেকপ্রস্থ বায়নাক্কা সিডের।
সেখানে প্রজেক্টর নেই কেন? অফিসের ভোল বদল করতে হবে, দাবি উচ্ছেবাবুর। এখানেই শেষ নয়। ময়রাদের ডেকে সিডের নির্দেশ, সবাইকে এবার থেকে ইউনিফর্ম পরে কাজ করতে হবে। দরকার হলে বেস কিচেনের ভোলও বদলে দিতে হবে। সমরেশ তো বলেই বসলেন, এবার থেকে রোজ ভূমিকম্প হবে।
তবে দাদাইয়ের হাসিমুখের দিকে সব সয়ে নিতে রাজি মিঠাই। আসলে দাদাই আর পরিবারের অন্যান্যদের জন্যই তো সিডের ব্যবসায় যোগ দেওয়া। বুড়ো বয়সে মুম্বই, বেঙ্গালুরু না গিয়ে নাতি পরিবারের ব্যবসায় যোগ দিয়েছে। এবার আর সিদ্ধেশ্বর মোদককে কেউ আটকাতে পারবে না। গর্বে চোখে জল দাদাইয়ের। তাই খুশি মিঠাইও।
কিন্তু উচ্ছেবাবু তো বসে থাকার পাত্র নন। তিনি ইতিমধ্যেই ঠিক করে ফেলেছেন, এবার স্বাস্থ্যসম্মত রান্নার প্রতিযোগিতায় নাম দেবে মিঠাই। আর মোদকদের মিষ্টির দোকানেও থাকবে স্বাস্থ্যসম্মত মিষ্টি। শুনেই তো মাথায় হাত সকলের। উচ্ছেবাবুর পেলান (মিঠাইয়ের ভাষায় প্ল্যান) সামলাতে এবার গোপালই হেলেপ করতে পারবে!