বাংলাহান্ট ডেস্ক: দুদিন আগেই বিয়ে মিটেছে মিঠাই (mithai) সিদ্ধার্থর। প্রথম বার বিয়েটা করতে বাধ্য হলেও এবার ভেবেচিন্তে নিজেই মত দিয়েছে সে। আসলে প্রথম বার বিয়ের পর থেকে অনেক কিছুই ঘটে গিয়েছে মোদক পরিবার তথা সিড মিঠাইয়ের জীবনে। পরিবারের সমস্ত আপদে বিপদে ঢাল হয়ে দাঁড়াতে দেখা গিয়েছে মিঠাইকে। এমনকি সিডকেও প্রাণে বাঁচিয়েছে সে।
তখন থেকেই মিঠাইয়ের গুরুত্ব বুঝতে শুরু করেছিল সিদ্ধার্থ। কিন্তু এতকিছু সত্ত্বেও বিয়েটা মানতে পারেনি সে। কারণটা লুকিয়ে আছে তার শৈশবে। নিজের মাকে বিয়ে করে কষ্ট পেতে দেখেছে সে। তাই বিয়ের কথা শুনলেই তার দমবন্ধ করা অনুভূতি হয়। এদিকে সিদ্ধার্থ বিয়ে না মানায় মিঠাইকে নিয়ে জনাইতে ফিরে যান তার মা পার্বতী। আর অভিমানে বাড়ি ছাড়েন দাদাই।
সোজা গিয়ে ওঠেন আশ্রমে সন্ন্যাস নেবেন বলে। প্রাণের থেকেও বেশি প্রিয় দাদাইয়ের এমন সিদ্ধান্তে ভয়ই পেয়ে গিয়েছিল সিড। তাই তো মিঠাইকে ফিরিয়ে আনতে জনাই যেতেও দুবার ভাবেনি সে। কিন্তু সকলে গিয়ে আশ্রমে উঠলেও বাড়ি ফিরতে বেঁকে বসেন দাদাই। অনেক টালবাহানার পর সিড ঘোষনা করে দাদাই যদি চান সে বিয়েটা মেনে নিলেই তিনি বাড়ি ফিরবেন তবে সেটাই হবে। কারণ দাদাইয়ের জন্য সে সবকিছু করতে পারে।
আর বাস্তবেই সেটা কাজে করে দেখায় সিদ্ধার্থ। সকলের সামনে মিঠাইকে প্রোপোজের পর বাবা সমরেশকেও জোর গলায় জানায়, বিয়েটা সে মেনে নিয়েছে। কিন্তু যার জন্য এত কিছু সেই মিঠাইয়ের মুখেই হাসি নেই। তার মাথায় ঘুরছে অন্য চিন্তা। দাদাইয়ের জন্য বিয়েটা মেনে আবার বড় ভুল করে বসল না তো দাদুর নাতি?
https://www.instagram.com/tv/CUkRGOQBo_O/?utm_medium=copy_link
প্রশ্নটা সে করেও বসে সিদ্ধার্থকে। বিয়ে যদি মানতেই হয় তবে তাকে কেন স্ত্রী হিসেবে মেনে নিল সিড? মিঠাই তো তার যোগ্যই না। সিদ্ধার্থর উত্তর, “তোমাকে ছাড়া তো আর কাউকে স্ত্রী হিসেবে ভাবতে পারছি না”। এই দৃশ্যটা দেখেই উচ্ছ্বসিত নেটিজেনরা। বিয়ে সেরেই মিঠাইয়ের প্রেমে হাবুডুবু খেতে শুরু করেছে সিড! প্রথম বারের জন্য ভালবাসার কথাও শোনা গেল তার মুখে। এবার ভালঝয় ভালোয় সংসারটা শুরু করুক দুজনে সেটাই প্রার্থনা দর্শকদের।