বাংলা হান্ট ডেস্ক: পুজোর কয়েকটি দিন শহরে না থেকে বেড়িয়ে আসতেই পছন্দ করেন অনেকে। পুজোয় বেড়াতে যাওয়ার অন্যতম সমস্যা হলো ট্রেন, হোটেলের বুকিং পাওয়া মুশকিল। য়ার ফলে বহু মাস আগে থেকেই পুজোর বুকিং শুরু হয়ে যায়। এছাড়া ঘুরতে যাওয়ার কথা বললেই মাথায় আসে উত্তরবঙ্গের কথা। তবে উত্তরবঙ্গতো বহুবার গেছেন। এবার আপনাদের সিকিমের (Sikkim) ভ্রমণের আরও একটি নতুন জায়গার নাম বলবো। যেখানে গেলে আপনার মন ভালো হতে বাধ্য। এটি মূলত সিকিমের (Sikkim) অফবিট জায়গা।
প্রকৃতির সৌন্দর্যের দিক থেকে কোন অংশে কম নয় সিকিমের অফবিট জায়গা বারফুং (Sikkim)
গ্যাংটক, লাচেন-লাচুং, জ়ুলুক, আরিতার সিকিমের (Sikkim) অধিকাংশ গন্তব্যই বাঙালির চেনা। তাই এ বার পুজোয় সিকিমের নতুন এই স্পট থেকে ঘুরে আসতে পারেন কম খরচে। এখানে গেলে আপনি অনায়াসে কাটায়ে দিতে পারবেন ৫-৬ দিন। বারফুং সিকিমের অফবিট জায়গা। গোটা গ্রাম সবুজে ঢাকা। প্রকৃতির কোলে সময় কাটাতে এবং সিকিমকে আরও কাছ থেকে চিনতে, ছুটি কাটাতে পারেন বারফুংয়ে। বারফুংয়ের প্রকৃতি দেখলে বোঝা যায় এখানে মানুষের চলাচল কম।পাহাডের দু’পাশের ঘন জঙ্গল, প্রাচীন সব গাছ, তাদের ডালপালা, শিকড় ও শুকনো পাতা একে-অন্যের সঙ্গে জড়াজড়ি করে আছে। মাঝেমাঝে নীরবতা ভেঙে কানে আসবে নানা পাখির ডাক।
আরও পড়ুন: পোস্ট অফিসের দারুণ অফার! সন্তানের ভবিষ্যতের জন্য এই স্কিমে বিনিয়োগ করুন নিশ্চিন্তে
কীভাবে যাবেন?
শিয়ালদা অথবা হাওড়া থেকে ট্রেনে করে এনজিপি যেতে হবে। সেখান থেকে ভাড়া গাড়িতে ৪-৫ ঘন্টা পথ পেরিয়ে যেতে হবে বারফুং (Barfung)। সেখানে যেহেতু জনবসতি কম। তাই সেখানে হোটেলের সংখ্যাও কম। তবে হাতেগোনা কয়েকটি হোমস্টে রয়েছে। এখানে আসার আগে হোমস্টে বুক করে আসা ভালো।
কোথায় কোথায় ঘুরবেন?
এই জায়গায় গেলে প্রাকৃতিক পরিবেশ উপভোগ করতে পারবেন। এখানে গেলে আপনার সময় কোথার থেকে যে কেটে যাবে আপনি নিজেও টের পাবেন না। এছাড়াও, বারফুং-এ রয়েছে সেভেন মিরর লেক। এখানকার স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে সেভন মিরর হলো পবিত্র লেক। পাশাপাশি এই লেকের কাছেই রয়েছে একটি মনাস্ট্রি। তার থেকে আরও বেশ খানিকটা দূরে রয়েছে প্রাচীন মনাস্ট্রি ডোলিং। এছাড়াও বারফুং থেকে ৬ কিলোমিটার দূরে রাবংলার বুদ্ধ পার্কে যেতে পারেন।