বাংলাহান্ট ডেস্ক : তিস্তার জলের তোরে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১০নম্বর জাতীয় সড়ক। বিপর্যয়ের ফলে রাস্তায় নেমেছে ধস। এর ফলে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে যানবাহন। শিলিগুড়ি থেকে কালিম্পং যাওয়ার রাস্তা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ। রাস্তা বন্ধ থাকায় ব্যাপকভাবে সমস্যায় পড়ছেন পর্যটকরা। নতুন করে শিলিগুড়ি থেকে উপরে পর্যটকদের তোলা হচ্ছে না। তিস্তা নদীতে হড়পা বানের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক।
এরফলে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে শিলিগুড়ি-কালিম্পং। রাস্তা বন্ধ থাকায় ঘুর পথে শিলিগুড়ি থেকে যাত্রীদের যেতে হবে কালিম্পং। প্রশাসন সূত্রে খবর, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সময় লাগবে। আজ সকাল থেকেই গাড়ি ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে সেবক রোড থেকে। তিস্তায় জল বৃদ্ধির ফলে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক।
আরোও পড়ুন : ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি বাংলায়, চলবে না হাওড়া-শালিমার থেকে একগুচ্ছ ট্রেন, দেখুন তালিকা
জাতীয় সড়কের বহু জায়গায় ধস দেখা গেছে। তিস্তা গর্ভে চলে গেছে ২৯ মাইল, মেল্লির কাছের জাতীয় সড়কও। লাভা, গোরুবাথান হয়ে সেখানে থেকে যাত্রীদের পৌঁছাতে হচ্ছে কালিম্পং। এই পথ ধরেই কালিম্পং থেকে আবার আসতে হচ্ছে শিলিগুড়ি। খুব কম সংখ্যক গাড়ি চলছে শিলিগুড়ি ও কালিম্পং এর মধ্যে। বন্ধ রয়েছে বাস পরিষেবা।
আরোও পড়ুন : লক্ষ্মীবারে সুখবর! একাধিক জেলায় দাম কমল জ্বালানির, কোথায় কত রেট পেট্রোল-ডিজেলের
তিস্তা নদীতে জলস্রোতের কারণে প্রশাসনের পক্ষ থেকে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে তিস্তা সেতুতে। আজ সকাল থেকেই প্রশাসনের পক্ষ থেকে তিস্তা সেতুর উপর যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। শিলিগুড়ি থেকে প্রায় তিন ঘন্টা মতো সময় লাগে সেবক, কালিঝোরা, তিস্তা বাজার হয়ে কালিম্পঙ পৌঁছতে। তবে রাস্তা বন্ধ থাকায় ঘুর পথে কালিম্পঙ পৌঁছতে লাগবে চার থেকে পাঁচ ঘন্টা।
জানা যাচ্ছে ঘুর পথে যেতে অতিরিক্ত ভাড়া চাইছে গাড়িগুলি। অন্যদিকে, আজ সকাল থেকেই সম্পূর্ণভাবে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে সিকিমের সাথে। এখনো পর্যন্ত ২৩ জন সেনা জওয়ানের নিখোঁজ হওয়ার খবর সামনে এসেছে। প্রশাসনের তরফে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে উদ্ধার কাজ। শিলিগুড়ি থেকে সিকিম যাওয়ার পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই সমস্যায় পড়েছেন সিকিমগামী পর্যটকরা।