বাংলা হান্ট ডেস্কঃ এবার খোদ বাংলাতেই বাঙালি পরিচয়ে হেনস্তার অভিযোগ! সম্প্রতি শিলিগুড়ির (Siliguri) এক যুবক দাবি করেছেন, চা সংস্থার অবাঙালি আধিকারিকরা তাঁকে বাংলায় কথা বলায় ‘বাংলাদেশি’ বলে কটূক্তি করে এবং শেষপর্যন্ত চাকরি থেকে ছাঁটাই করে দেন। এই ঘটনায় প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে যায় শহর জুড়ে। চাকরিহারা ওই যুবক অভিষেক সেনগুপ্তর পাশে দাঁড়িয়েছেন মেয়র গৌতম দেব। পুলিশকেও বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বাংলায় কথা বলায় হেনস্তার অভিযোগ শিলিগুড়িতে (Siliguri)
ঘটনা প্রসঙ্গে জানা যায়, শিলিগুড়ির (Siliguri) এক চা সংস্থায় মানবসম্পদ উন্নয়ন কর্মী বা HR হিসেবে কর্মরত ছিলেন হায়দরাবাদ থেকে এমবিএ পাশ করা অভিষেক সেনগুপ্ত। গত ৪ সেপ্টেম্বর অফিসে গিয়ে আচমকাই হেনস্তার শিকার হন তিনি। অভিষেকের অভিযোগ, HR ম্যানেজার মিস্টার বনসাল এবং তাঁর এক সহযোগী শারীরিক ও মানসিকভাবে চাপ দেন। বাংলায় কথা বলার কারণ দেখিয়ে তাঁকে ‘বাংলাদেশি’ বলে অপমান করা হয় এবং কাজ বন্ধ রেখে অফিস থেকে বেরিয়ে যেতে বলা হয়।
এছাড়া ঘটনার কয়েক দিনের মধ্যেই তাঁকে চাকরি থেকে ছাঁটাই করা হয়। অভিষেকের দাবি, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তাঁর সমস্ত দায়িত্ব অন্যের হাতে বুঝিয়ে দিতে নির্দেশ দেয়। এতে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে পুলিশের দ্বারস্থ হন অভিষেক। কিন্তু সেখান থেকেও সুরাহা না হওয়ায় শেষমেশ সরাসরি ‘টক টু মেয়র’ অনুষ্ঠানে নিজের অসহায়তার কথা তুলে ধরেন তিনি।
অভিযোগ শুনেই নড়েচড়ে বসেন শিলিগুড়ির (Siliguri) মেয়র গৌতম দেব। পুলিশ কমিশনারকে তিনি নির্দেশ দেন, চাকরিচ্যুতির মতো গুরুতর বিষয়ে সহমর্মিতার সঙ্গে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নিতে। সোমবার অভিষেকের বাড়িতে গিয়ে পাশে থাকার আশ্বাসও দেন মেয়র। গৌতম দেবের বক্তব্য, “এভাবে কাউকে চাকরি থেকে ছাঁটাই করা যায় না। তাঁকে শারীরিক ও মানসিকভাবে হেনস্তা করা হয়েছে, যা মেনে নেওয়া যায় না।”
আরও পড়ুনঃ মতুয়া ইস্যুতে অস্বস্তি! বনগাঁ-দমদমে সংগঠনের কোন্দল মেটাতে জেলাওয়াড়ি বৈঠকে অভিষেক
প্রসঙ্গত, শিলিগুড়িতে (Siliguri) বাঙালি পরিচয়ে এমন হেনস্তার ঘটনা প্রকাশ্যে আসায় শহর জুড়ে তৈরি হয়েছে ক্ষোভ। পুলিশি তদন্তে কী সিদ্ধান্ত হয় এবং চাকরি হারানো যুবক ন্যায়বিচার পান কি না, সেদিকেই এখন তাকিয়ে শিলিগুড়ির মানুষ।