বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ইতিমধ্যেই jio তে ৪৪ হাজার কোটি টাকার লগ্নি করেছেন ফেসবুক (Facebook) । এই গাঁটছড়া এক ই কমার্স ব্যাবসায় বিপ্লব আনবে বলেই মনে করা হচ্ছে। জিও মার্ট (jio mart) কে হোয়াটসঅ্যাপ (Whatsapp) এর সাথে জুড়ে আমাজন (amazon) ফ্লিপকার্টের (flipkart) বাজার দখল নিতে চাইছেন অম্বানি।
এবার মার্কিন বেসরকারি ইক্যুইটি ফার্ম Silver Lake জিও প্ল্যাটফর্মগুলিতে ৫,৬৫৫.৭৫ কোটি টাকা বিনিয়োগ করছে৷ স্বাভাবিক কারণে এটি যে কোনো ভারতীয় সংস্থার কাছে এক বড় সাফল্য।
সিলভার লেকের সহ-প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং ব্যবস্থাপনা অংশীদার অ্যাওন ডারবান এই চুক্তি নিয়ে খুশি প্রকাশ করে বলেছেন যে রিলায়েন্স জিও বিশ্বের অন্যতম সেরা সংস্থা।
2016 সালে জিও চালু হওয়ার পরে, রিলায়েন্স দেশের একমাত্র সংস্থা হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছে যা দ্রুত বর্ধমান ভারতীয় বাজারে আমেরিকান প্রযুক্তি গ্রুপগুলির সাথে প্রতিযোগিতা করতে সক্ষম। মোবাইল টেলিকম থেকে শুরু করে হোম ব্রডব্যান্ড পর্যন্ত প্রতিটি ক্ষেত্রেই ই-বাণিজ্য সম্প্রসারিত করেছে রিলায়েন্স।
ভারতের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের প্রযুক্তির সাথে যুক্ত করতে জিওমার্টকে হোয়াটসঅ্যাপের সঙ্গে জুড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুকেশ আম্বানি। দেশের ছোট ও মাঝারি দোকান, মুদি, স্টেশনারি দোকান, হকার, ছোট ব্যবসায়ীদের এক ছাতার তলায় আনতে জিওমার্ট ও হোয়াটসঅ্যাপ মিলে তৈরি হবে নতুন ই-কমার্স মডেল৷। যেখান থেকে অনলাইনেই স্থানীয় দোকান বা বাজার থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র অর্ডার দেওয়া যাবে। দাম মেটানো যাবে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমেই। আর সেই অর্ডার নিয়ে বাড়ির দরজায় পৌঁছে দেবে জিওমার্ট।
পাশাপাশি, জিওমার্ট আর হোয়াটসঅ্যাপের জুটিতে ছোট ব্যবসায়ীরাও ডিজিটাল কেনাবেচায় অভ্যস্ত হবেন। লকডাউন বা ভবিষ্যতে এমন সঙ্কটের পরিস্থিতি এলে অনলাইনেই গ্রাহকরা জিনিসপত্রের অর্ডার দিতে পারবেন। ডিজিটাল ব্যবসার এক নতুন দিগন্ত খুলে যাবে দেশে। ছোট ব্যবসায়ীদের রুজি রোজগারে টান পড়বে না। দ্বিতীয়ত, সুবিধা রয়েছে গ্রাহকদেরও। বাড়ি বসেই সহজে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস চলে আসবে হাতে। জিওমার্ট যেহেতু রিল্যায়ান্স জিও-র প্ল্যাটফর্ম হওয়ায় অফারও চলতে থাকবে বিভিন্ন সময়ে।
২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে মুকেশ আম্বানির সংস্থার বাজার মূল্য ছিল প্রায় ৫৬-৭০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। সেই হিসাবে তার ১০ শতাংশ শেয়ারের মূল্য হয় ৬.৫ বিলিয়ন থেকে ৭ বিলিয়ন ডলার।নিজের ফেসবুক পেজে এই ব্যাপারে লিখেছেন জুকারবার্গও। তিনি বলেন, ফেসবুক জিও প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে জোট বাঁধছে। আমরা আর্থিক বিনিয়োগ করেছি। তারসঙ্গে আমরা একসঙ্গে সামনে কিছু বড় প্রোজেক্টে কাজ করতে চলেছি, যা ভারতে বাণিজ্যিক সম্ভাবনা আরও বাড়িয়ে দেবে।