বাংলা হান্ট ডেস্ক: UPSC (Union Public Service Commission) পরীক্ষা নিঃসন্দেহে দেশের অন্যতম কঠিন একটি পরীক্ষা। এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে গেলে পরীক্ষার্থীদেরকে কঠোর পরিশ্রম করতে হয়। আজ আমরা বর্তমান প্রতিবেদনে এমন একজনের কথা আপনাদের জানাবো যিনি প্রথমে নায়িকা হতে চাইলেও পরবর্তীকালে এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে IPS অফিসার হন!
সিমালা প্রসাদ, এভাবেই তাঁর জীবনে তৈরি করেছেন এক অনবদ্য উত্তরণের কাহিনি। যিনি নায়িকা হতে চেয়েও বর্তমানে IPS অফিসার হয়ে দেশের সেবায় ব্রতী হয়েছেন। মধ্যপ্রদেশের রাজধানী ভোপালে ১৯৮০ সালের ৮ অক্টোবর জন্মগ্রহণ করেন সিমালা। তিনি প্রথমে সেন্ট জোসেফ কো-এড স্কুল থেকে বিদ্যালয়ের পড়াশোনা শেষ করে তারপরে বি.কম করেন । পরবর্তীকালে ভোপালের বরকতুল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর করেন সিমালা।
ছোট থেকেই থেকেই অভিনয় ও নাচের প্রতি শখ ছিল সিমালার। স্কুল এবং কলেজে অনুষ্ঠিত প্রতিটি অনুষ্ঠানে তিনি অংশগ্রহণ করতেন। পরবর্তীকালে সিমালা প্রসাদ পিএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন এবং ডিএসপি হিসেবে প্রথম পোস্টিং পান। এমতাবস্থায়, তিনি “পাখির চোখ” করেন UPSC-পরীক্ষাকে। সবচেয়ে অবাক করার মত বিষয় হল সিমালা আইপিএসের প্রস্তুতির জন্য কোনো ধরণের কোচিংয়ের সাহায্য নেননি। পরিবর্তে, তিনি নিজে পড়াশোনা করেছেন এবং এই পরীক্ষায় সফলও হয়েছেন।
IPS হওয়ার পরে, সিমালা মধ্যপ্রদেশের ডিন্ডোরিতে প্রথম পোস্টিং পান। বর্তমানে, তিনি মধ্যপ্রদেশের বেতুলে এসপি হিসাবে কর্মরত রয়েছেন। তাঁর দাপটে অপরাধীরা তাঁকে যমের মত ভয় পান। এই প্রসঙ্গে সিমালা জানিয়েছেন যে, “কখনও ভাবিনি আমি সিভিল সার্ভিসে যেতে চাই। তবে বাড়ির পরিবেশ আমার মধ্যে IPS হওয়ার ইচ্ছা জাগিয়েছিল। আমি ভেবেছিলাম দেশের সেবা করার জন্য এর চেয়ে ভালো প্ল্যাটফর্ম হতে পারে না।”
তবে, IPS হয়েও অভিনয়ের প্রতি আসক্তি তাঁর এতটুকুও কমেনি। দিল্লির একটি অনুষ্ঠানে পরিচালক জগাম ইমামের সাথে তাঁর দেখা হলে তিনি তাঁকে “আলিফ” ছবিতে কাজ করার সুযোগ দেন। তাঁর প্রথম ছবিটি ২০১৬ সালের নভেম্বরে অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের ভারতীয় আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হয়েছিল এবং ছবিটি ২০১৭ সালে মুক্তি পায়। এরপরে, তিনি ২০১৯ সালে “নক্কাশ” নামের আরেকটি সিনেমায় সাংবাদিকের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন।