বাংলাহান্ট ডেস্ক: নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ ও রাজনাথ সিংয়ের মতো বিজেপির শীর্ষ নেতারা বহুবার পাক অধিকৃত কাশ্মীর ফের ভারতের (India) দখলে আনার দাবি জানিয়েছেন। এবার আরও একধাপ এগিয়ে পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশকে ভারতীয় ভূখণ্ডে ফিরিয়ে আনার ইঙ্গিত দিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। রবিবার এক জনসভায় তিনি বলেন, বর্তমানে সিন্ধ ভারতের অংশ না হলেও ভবিষ্যতে সীমানা বদলে যেতে পারে, আর সেই বদলের ফলেই সেই অঞ্চল পুনরায় ভারতের মানচিত্রে জায়গা পেতে পারে। তাঁর বক্তব্যেই স্পষ্ট ইঙ্গিত—ভারতের ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক পরিসরের অংশ হিসেবে তিনি সিন্ধকে এখনও ভারতের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে যুক্ত মনে করেন।
ফের ভারতের (India) মানচিত্র যুক্ত হবে সিন্ধ, বললেন রাজনাথ সিং
১৯৪৭ সালের দেশভাগের সময় পাকিস্তানের অংশ হয় সিন্ধু নদী তীরবর্তী প্রদেশ সিন্ধ। দেশভাগের অশান্তির আবহে এলাকার বহু বাসিন্দা, বিশেষ করে সিন্ধি হিন্দুরা, জন্মভিটা ছেড়ে ভারতে (India) এসে আশ্রয় নেন। এই প্রসঙ্গ টেনে রাজনাথ বলেন, লালকৃষ্ণ আডবাণীর মতো সিন্ধি হিন্দুরা কখনওই তাঁদের পিতৃভূমি পাকিস্তানে অন্তর্ভুক্ত হওয়া মেনে নিতে পারেননি। তিনি আডবাণীর লেখা বইয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে জানান, সিন্ধি বংশোদ্ভূত বহু মানুষ এখনও মনে করেন সিন্ধু প্রদেশের ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া তাঁদের আবেগকে আঘাত করেছিল।
আরও পড়ুন:প্রত্যর্পণ নিয়ে উত্তেজনা চরমে, দিল্লিকে জরুরি বার্তা পাঠাল ঢাকা সরকার
রাজনাথ আরও বলেন, শুধু সিন্ধি হিন্দুরাই নয়, গোটা ভারতই (India) মনে করে সিন্ধু নদী ভারতের সাংস্কৃতিক পরিচয়ের অন্যতম ভিত্তি। তাঁর দাবি, বহু সিন্ধি মুসলমানও বিশ্বাস করতেন যে সিন্ধু নদীর জল মক্কার আব-এ-জমজমের থেকেও কম পবিত্র নয়। এই প্রসঙ্গেই প্রতিরক্ষামন্ত্রীর মন্তব্য—“আজ সিন্ধ ভারতের রাজনৈতিক সীমানার বাইরে থাকলেও সভ্যতার দিক থেকে কখনও আলাদা হয়নি। আর সীমান্ত যে কখনও বদলে যেতে পারে, সেটি ইতিহাস বারবার দেখিয়েছে।”
এর আগে গত ২২ সেপ্টেম্বর মরোক্কোয় একটি আন্তর্জাতিক অনুষ্ঠানে রাজনাথ বলেছিলেন, কোনও সংঘাত ছাড়াই পাক অধিকৃত কাশ্মীর ভারতের (India) দখলে আসবে। কারণ পিওকে-র সাধারণ মানুষই দখলদারিত্ব থেকে মুক্তি চান। তিনি দাবি করেছিলেন, পিওকে-র অভ্যন্তরে এখন “মুক্তি”র স্লোগান উঠতে শুরু করেছে। গত কয়েক মাসে পিওকে-তে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে প্রশাসনের সংঘাত বৃদ্ধি পেয়েছে, অভিযোগ উঠেছে পাকিস্তান সরকারের দমন-পীড়নের।

আরও পড়ুন: ত্রিপাক্ষিক প্রযুক্তি জোটের পথে ভারত, জি-২০ বৈঠকের ফাঁকে বড় ঘোষণা মোদির
তবে এবার প্রথমবার প্রকাশ্যে সিন্ধকে কেন্দ্র করে এমন মন্তব্য করলেন রাজনাথ। তাঁর বক্তব্য রাজনৈতিক মহলে নতুন করে আলোচনা শুরু করেছে। যদিও কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে সিন্ধ বিষয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক অবস্থান জানানো হয়নি। তবুও ভারতের (India) প্রতিরক্ষামন্ত্রীর মন্তব্য আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহলে যে আলোচনার জন্ম দেবে, তা স্পষ্ট।












